
বাঙালি একটা কৃষক জাতি। এরা যোদ্ধা না, আর তাই যুদ্ধ আর খেলার পার্থক্য বোঝেনা। এরা ভাবে যুদ্ধে হল গোল খাওয়া আর গোল দেওয়ার বিষয়।
ইসরাইল ৬টা পরমাণু বিজ্ঞানী আর দুজন মিলিটারি প্রধানকে হত্যা করেছে। শোনা যাচ্ছে ইউক্রেইন যেমন রাশিয়ায় ট্রাক বোঝাই ড্রোন বিমান বহরের কাছে লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে আঘাত হেনেছে রুশ বিমান বহরে, সেরকম ভাবেই ইসরাইল গাড়ি বোঝাই ড্রোন ইরানের ভেতরে নিয়ে এনে সমর প্রধান ও বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে। বোঝাই যাচ্ছে ইউক্রেইন ও ইসরাইল একই মাথা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মাথাটা যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাও বোঝা যাচ্ছে।
একটা ইসরাইলী কমাণ্ডো বাহিনী ইরানের ভেতরে ঘাটি গেঁড়ে অনেকদিন ছিল এবং তারাই রাডার ধ্বংস করেছে বলে শোনা গেছে। কিন্তু ইসরাইল-এর লক্ষ্য কি ছিল? ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা যাতে ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাতে না পারে। আন্তর্জাতিক পরমাণু নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ২০২৩ সালে জানায় যে ইরান ফুরডো পরমাণু কেন্দ্রে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার মতো যথেষ্ট সরঞ্জাম প্রস্তুত করে ফেলেছে। ইসরাইল হামলা করেছে যাতে ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাতে না পারে। কিন্তু ইসরাইল একটাও পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে।
কোম পাহাড়ের পাথরের নীচে অবস্থিত ফুরডো-তেই আছে আসল পরমাণু কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে ২০০৭ সালে সাক্সনেট নামের কম্পিউটার ভাইরাস দিয়ে আক্রমণ করেছিল ইসরাইল। প্রচুর পশ্চীমা গণমাধ্যমের ফুটেজ খায় সাক্সনেট। এছাড়াও ইরানের অজস্র পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যা করেছে ইসরাইল কিন্তু ইরান আস্তে আস্তে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার মতো সরঞ্জাম তৈরি করে ফেলে ২০২৩ সালে।
ইদানিং ইরান ইসরাইলী পরমাণু কেন্দ্রের হদিসও পেয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা যে ইসরাইল-এর হয়ে গুপ্তচর বৃত্তি করেছে তাও ইরান ফাঁস করে দিয়েছে।
ইসরাইল জানে ইরান হয় পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে নয় তো বানানো কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিছু বুড়ো সমর প্রধান আর বিজ্ঞানী মেরে খুব লাভ হয়না। ইসরাইল বা ইউক্রেইন-এর আক্রমণ অনেক ফুটেজ পায়। কিন্তু কাজের কাজ হয়না। ইউক্রেইন রুশ বিমান বহরে আঘাত হানার পরে রুশ আক্রমণের সামনে কতটা অসহায় হয়ে গেছে তা পশ্চীমা মিডিয়ার ফুটেজ পায়না। যাই হোক ইরান মনে হয় শীঘ্রই ভারতের থেকে চাবাহার বন্দরের দায়িত্ব কেড়ে নেবে কারণ ও খান দিয়েই হয়তো সবচেয়ে বেশি ইস্রাইলী গুপ্তচর ইরানে ঢুকেছে। ইরান আর রাশিয়া আরও বেশি চীন নির্ভর হয়ে পড়োবে।
ইরান ও রাশিয়া চীরকালই ভারত-কে দিয়ে চীন-কে ব্যলেন্স করার কথা ভাবত। কিন্তু ইউক্রেইন ও ইস্রাইলের সাথে যুদ্ধ রাশিয়া ও ইরানকে যথাক্রমে ভারতের থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে পাকিস্তান-এর মতোই ইরান, মধ্য এশিয়ার স্তান দেশসমূহ, আফঘানিস্তান, রাশিয়া, বেলারুশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। ইউক্রেইন পড়লে হাঙ্গেরী ও রোমানিয়াও প্রস্তুতই আছে।
আজকের আক্রমণের ফলে ইরান ছুতো পেয়ে গেল পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার। উত্তর কোরিয়া ইরানকে যুদ্ধের সরঞ্জাম দেবে জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়া অবশ্যই চীন ও রাশিয়ার সম্মতি নিয়ে জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়া দ্রুত পরমাণু অস্ত্র বানানোর সরঞ্জামের কথাই বলেছে। ইরান খুব শীঘ্রই নিজেকে পরমাণু শক্তিধর বলে দাবি করবে। ইস্রাইলকে যা করার আগামী ২ সপ্তাহে করতে হবে। ইরান-এর তত তাড়া নেই।
Author: Saikat Bhattacharya