world order

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের দেশকে ভারতীয় উপনিবেশ থেকে মুক্ত অনেক বড় অর্জন


১. ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্প

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বিনামূল্যে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুবিধা পাওয়ার জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের কৌশলগত নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।

২. অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ

ভারতের সামরিক ও বাণিজ্যিক মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে গৃহীত এই প্রকল্পকেও বাতিল করা হয়।

৩. আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডর

ভারতীয় পণ্যের পরিবহন সুবিধার জন্য নির্মিত হলেও সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করছিল বাংলাদেশ। সরকার এটিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

৪. ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প

যদিও ফেনী নদীর উৎস ভারতের মধ্যে নয়, তবুও দীর্ঘদিন ধরে ভারত একতরফাভাবে এই পানি ব্যবহার করছিল। বাংলাদেশের সরকার এবার এ চুক্তি পুনর্বিবেচনার ঘোষণা দেয় এবং প্রকল্প বাতিল করে।

৫. কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্প

ভারত চাপ প্রয়োগ করে বাংলাদেশের অংশ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের চেষ্টা করছিল, অথচ এর কোনও বাস্তব বণ্টন কাঠামো ছিল না। ফলে এই প্রকল্পও স্থগিত করা হয়।

৬. বন্দর ব্যবহারের চুক্তির আওতাভুক্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন প্রকল্প

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভারতের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে যে অবকাঠামো উন্নয়নের চাপ দেওয়া হয়েছিল, তা বাংলাদেশের কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী হওয়ায় বাতিল করা হয়।

৭. ফারাক্কাবাদ সংস্কার প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা

এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে নিজ অর্থে ভারতের অভ্যন্তরের ফারাক্কাবাদ সংস্কারে সহায়তা করতে বলা হয়েছিল, যদিও এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল শুকিয়ে যাচ্ছে। সরকার এই প্রস্তাব সাফ প্রত্যাখ্যান করে।

৮. সিলেট-শিবচর সংযোগ প্রকল্প

এই সড়ক ব্যবহার করে ভারত বাংলাদেশ ভূখণ্ড অতিক্রম করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ঝুঁকি চিহ্নিত করার পর সরকার দ্রুত এই প্রকল্প বাতিল করে।

৯. পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ

ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহের আড়ালে ভারত বাংলাদেশের জ্বালানি বাজার দখলের পরিকল্পনা করেছিল। সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

১০. চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের নতুন চুক্তির ধারা

ভারত এই দুই বন্দর দীর্ঘমেয়াদে একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করতে চাইলেও বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দেয়— দেশের কৌশলগত স্থাপনায় কোনও বিদেশি দেশের একাধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না। নতুন ধারা সংশোধনের মাধ্যমে এসব অনুমোদন বাতিল করা হয়।

 

ভারত থেকে সুতা আমদানি ৫০% কমালে বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।

তিনি দ্য হিন্দু পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ভারতের সুতা রপ্তানির ৪৫% গন্তব্য বাংলাদেশ। এই নির্ভরতা কমালে বাংলাদেশের স্থানীয় টেক্সটাইল খাত উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “যেসব ব্যবসায়ী ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ হওয়াকে স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন, তারা আসলে আমাদের দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করছেন না।”

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like