world order

বাংলাদেশ প্রসঙ্গেঃ নারী কমিশন, মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর


বাংলাদেশের জেন-জি তরুণ প্রজন্ম লড়াই করে হাসিনা আওয়ামী ও ভারতকে হটিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের নেতৃত্ব বৌদ্ধিক দিক দিয়ে অক্ষম। তারা বুঝেই উঠতে পারেনি হাসিনা আওয়ামী বিএনপি সবই মুখোশ। আসল সমস্যা হল বাংলাদেশের শাসক লুটেরা পুঁজিপতি শ্রেণি। এরা সর্বত্র সিণ্ডিকেট বানিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা চালাতে চায়। এরাই আওয়ামী আর বিএনপি-কে চালায়। প্রয়োজনে জামাত এবং এনসিপি-কেও এই লুটেরা পুঁজি কিনে নেবে। তাই জুলাই বিপ্লবীদের উচিত ছিল অর্থনৈতিকভাবে এই লুটেরা পুঁজিপতি শ্রেণিকে কোণঠাসা করা। তাদের একচেটিয়া কারবার রুখে দেওয়া। নতুন প্রজন্ম-এর ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা যাতে প্রতিযোগিতা বাড়ে এবং যেখানে পরিকাঠামোতে রাষ্ট্র-কে নিয়ে আনা। চীনের কাছ থেকে শেখা কিভাবে পরিকাঠামোতে রাষ্ট্রীয় মালিকানা রেখে ভোগ্যপণ্যে প্রতিযোগিতামূলক ব্যক্তি মালিকানা চালায়। কিন্তু বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবী নেতারা অর্থনৈতিক চিন্তা করতেই পারেনা।

জেন-জি নেতা-দের বৌদ্ধিক অক্ষমতার ফল দাঁড়ায় বিপ্লবের পরে বৌদ্ধিক কাজের দায়িত্ব তারা দিয়ে দেয় বুমার জেনারেশন-কে। এই বুমার জেনারেশন-এর পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি আজকের প্রজন্মের আশা আকাঙ্খা। আর বাংলাদেশের বুমার জেনারেশন কোনও দিনই বাংলাদেশের লুটেরা শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে কোনো সংরাম করেনি। তাই বুমার ও জেন-এক্স বহু ক্ষেত্রেই ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছে।

যেখানে জুলাই বিপ্লবের শ্লোগান উঠেছিল "নারী যেখানে অগ্রসর, কোটা সেখানে হাস্যকর"। অর্থাৎ বাংলাদেশের নারী নিজেদের অগ্রসর মনে করছে ও তারা নারী কোটা চাইছেনা। জেন-জি প্রজন্মের এই আকাঙ্ক্ষার উলটো দিকে হেটে বুমার ও জেন-এক্স নেতৃত্ব নিয়ে আনল নারী কোটার পক্ষের নারী বিল। স্বাভাবিকভাবেই নতুন প্রজন্মের বিশাল একটা অংশ-কে নিজেদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলল।

অন্তর্বর্তীকালীন বুমার ও জেন-এক্স নেতৃত্ব ভালো করে বোঝাতেই পারলোনা যে রাষ্ট্রসংঘের অনুমতি নিয়ে মানবিক করিডোর করার অর্থ চীন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তিন শক্তির থেকেই অনুমতি নেওয়া। এমনকি মিয়ানমারেরও অনুমতি নেওয়া। তিন শক্তির একজনেরও অসম্মতি থাকলে রাষ্ট্রসংঘে পাশ হবেনা কারণ সে ভেটো দেবে।

সেভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্ব বোঝাতে অক্ষম হচ্ছে যে ডিপি-ওয়ারল্ড একটা আরব আমীর শাহী-এর কম্পানী। এই কম্পানী চীনের ছিংদাও প্রদেশের ৪টে বন্দর দেখাশোনা করে এবং চীনের তিয়ানজিন ও হংকং বন্দরও এদের জিম্মায়। তাহলে ডিপি-ওয়ারল্ড-কে চট্টগ্রাম বন্দর দেওয়া কিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-কে বন্দর দেওয়া হয়? এসব কথা রটাচ্ছে সেই লুটেরা শাসক শ্রেণি যারা বন্দরে সিন্ডিকেট-এর একচেটিয়া কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে চায়। বুমার ও জেন-এক্স নেতৃত্ব এই মিথ্যে প্রচারের বিরোধিতা করতে পারছেনা। আর জেন-জি নেতৃত্ব বৌদ্ধিক দিক থেকে বিকলাঙ্গ। ফলে আওয়ামী গেলেও শাসক শ্রেণির অর্থনৈতিক শাসন বজায় আছে পুরোপুরি। আর তারা সমস্ত দলকেই কলকাঠি নেড়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। মিডিয়ও তাদের হাতে। প্রশাসনও। এই লুটেরা পুঁজির শাসন-কে চ্যালেঞ্জ করাই মূল কাজ। 

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like