ইসরায়েল ইরান আক্রমণ করেছে

13-June-2025 by east is rising 14

আপডেট ১:

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (IDF) এই হামলায় প্রায় ১০০টিরও বেশি বিমান ব্যবহার করেছে। এই বিমানগুলো ইসরায়েল থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে ইরানে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি জেটগুলো জর্ডানের আর ইরাকের আকাশপথ অতিক্রম করে ইরানে হামলা চালিয়েছে।

হামলায় অত্যাধুনিক F-35 লাইটনিং II , F-15C/D ঈগল বাজ, এবং F-16I সুফা জেট ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া রিফুয়েলিং বিমান এবং গোয়েন্দা বিমানও মিশনে সহায়তা করেছে। এই বিমানগুলো ভারী মিউনিশন বহন করতে সক্ষম এবং সিরিয়ার রাডার সিস্টেমে প্রাথমিক হামলা চালিয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে।

সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। ফলে, ইসরায়েল জেটগুলো আরব সাগর এবং লোহিত সাগরের ওপর দিয়ে ঘুরে ইরাকের আকাশে প্রবেশ করেছে। এই দীর্ঘ পথের কারণে মাঝ আকাশে রিফুয়েলিংয়ের প্রয়োজন পড়েছিলো।

ইসরায়েলি হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং দূরপাল্লার মিসাইল সক্ষমতা। তেহরান, খুজেস্তান, এবং ইলাম প্রদেশের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (S-300 সিস্টেম সহ), ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর ঘাঁটি তে আক্রমণ চালিয়েছে।

তেহরানের পূর্বে একটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘাঁটি এবং দক্ষিণে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে ক্ষতি হয়েছে।

ইরানের প্রতিক্রিয়া এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, তবে ইরানের সুপ্রিম লিডার আলি খামেনি বলেছেন, হামলাকে “অতিরঞ্জিত বা অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।” তিনি ইরানের জনগণের শক্তি ও ইচ্ছা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। একটা আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া ইরান দেখাবে তা মোটামুটি নিশ্চিত।

এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ইতিমধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে। তেলের দাম অলরেডি ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৭৫ ডলারে পৌঁছেছে। ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে তাহলে তেল সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকলেও সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয়নি।

আপডেট ২:

ইসরায়েল এই হামলায় F-35 লাইটনিং II স্টেলথ ফাইটার জেট ব্যবহার করেছে, যা রাডারে সহজে ধরা পড়ে না। F-35-এর স্টেলথ ক্ষমতা ইরানের S-400 এবং S-300 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সনাক্তকরণ এড়াতে পারে। যদি কোনও রকমে S -400 বা S-300 স্টেলথ জেট সনাক্ত করে তবে তা এত স্লো যে রিয়েকশন এট্যাক করার আগেই F-৩৫ তার হামলা শেষ করে ফেলে।

এছড়া ইসরায়েলি জেটগুলো ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ না করে ইরাকের শুমারা এলাকা থেকে লং-রেইঞ্জ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যা ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ার সময় কমিয়ে দিয়েছে।

আপডেট ৩:

ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (IRNA) এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন যেসব নিহতের নাম নিশ্চিত করেছে তারা হলেন:

- IRGC এর কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেইন সালামি। তেহরানের পিরোজি স্ট্রিটে IRGC-এর সদর দপ্তরে হামলার সময় তিনি নিহত হন।

- নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট ফেরেদুন আব্বাসী। তিনি নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সময় নিহত হন।

- নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি। নাতাঞ্জ সহ পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের সময় নিহত হন।

আপডেট ৪:

আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধ এড়াতে বাগদাদ, বাহরাইন ও কুয়েতের দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মী ও পরিবার সরানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রতিরক্ষা সচিব বাহরাইনের সামরিক পরিবারের স্বেচ্ছায় প্রস্থান অনুমোদন করেছে। দূতাবাস ও ঘাঁটিগুলো উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। তার মনে দারাচ্ছে, ইরান পাল্টা আক্রমণ চালাবে বলে আমেরিকা বিশ্বাস করছে। অনলি টাইম উইল বলে দিবে।

Sabina Ahmed

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like