
অনিকেত মিত্র
ইস্ট ইন্ডিয়া কোং আসলে ছিল কিছু শয়তানি পরিবারের লুটতরাজ প্রকল্প। বাইরের ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ব্যাপারটি পোষাকী ছিল। বহিরাবরণ। অশুভ ভ্যাটিকানি রোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন আচারবিধি এবং সংস্কৃতি সুকৌশলে চাপানোটা ছিল আরেক লক্ষ্য (জেস্যুইট মিশনারি মারফৎ)।
নাহলে, লুটপাট করতে অসুবিধে হতো।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কয়েকটি বিভাগ ছিল। এক একটি বংশ/গোষ্ঠী সেই এক একটি বিভাগের মাথায় ছিল:-
১] ভারত এবং চীনের ক্ষেত্রে মূলদায়িত্বে ছিল ইহুদি সাসুন গোষ্ঠী (ডেভিড সাসুন প্রমুখ);
২] সমুদ্রপথের যাবতীয় দিকের মূলদায়িত্বে ছিল ইঞ্চকেপ্স্ গোষ্ঠী;
৩] আফিম কারবারের উপরে কোম্পানির অন্যতম ভিত গড়ার মূলদায়িত্বে ছিল জার্ডিন গোষ্ঠী এবং ম্যাথেসন গোষ্ঠী (স্কটল্যান্ডের কুখ্যাত মাদক কারবারি ছিল উইলিয়াম জার্ডিন, আফিম চোরাব্যবসায়ী জেমস ম্যাথেসন হংকং থেকে কাজ করতো);
৪] আফ্রিকা মহাদেশের স্বর্ণ ও হীরকের একচেটিয়া খনন, লুন্ঠন ও দখলের মূলদায়িত্বে ছিল হ্রোড্স গোষ্ঠী (সেসিল হ্রোড্স যাদের অন্যতম) এবং ইহুদি ওপেনহাইমার গোষ্ঠী (ডে বীয়ের্স হীরে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এর্নেস্ট ওপেনহাইমার);
৫] উত্তর আমেরিকার নিয়ন্ত্রক রকেফেলার গোষ্ঠী (আন্তর্জাতিকতাবাদ, বিগ ফার্মা মাফিয়াবৃত্তি এবং বিদ্যালয়শিক্ষার নামে কচিবয়স থেকে সিস্টেমের দাসত্ব শেখানোর পথিকৃৎ); এবং
৬] এদের সবার মাথা -- ইউরোপের অনভিষিক্ত রাজারাজড়া (বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ড) -- ইহুদি রথ্সচাইল্ড গোষ্ঠী (যারা সিটি অফ্ লন্ডন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, ভিয়েন্না, প্যারিস ও নাপোলি থেকে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক কারবার নিয়ন্ত্রণ করতো)।
Author: