ভারতের মুসলমানদের ওপর ঘটা শেষ ১৫ দিনের হিসেবঃ বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে

এটা নরেন্দ্র মোদীর ভারত, যেখানে বিদেশী সন্ত্রাসীদের করা সন্ত্রাসের জবাব সন্ত্রাস দিয়ে দেওয়া হয় দেশের মুসলিমদের বিরুদ্ধে। 

পহেলগাম হামলার পর, মাত্র ১৫ দিনে মুসলিমদের লক্ষ্য করে ১৮৪ 'টি ঘৃণ্য অপরাধের খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে ভারতজুড়ে ৩১৬ জন ভুক্তভোগী আক্রান্ত হয়েছেন (APCR রিপোর্ট)।

আইন ও ঐক্য বজায় রাখার পরিবর্তে, মোদীর শাসন জনতাকে নির্দোষ মুসলিম নাগরিকদের মারধর, হুমকি এবং হত্যা করতে সক্ষম করেছে - কেবল তাদের বিশ্বাসের কারণে।

Read More

Author: Sakib Hasan Piyada

Social Hindu 14-May-2025 by east is rising

Trump halted the US-UK bombing of the Houthis in Yemen

Taken from https://johnsonwkchoi.com/

US has no money & with inferior weapons: Donald Trump halted the US-UK bombing of the Houthis in Yemen after realizing that US$1 billion had been spent in the first 30 days, the New York Times reported this morning.

Multiple manned and unmanned aircraft were lost in the operation at massive cost to the US taxpayer.

Also, Pentagon officials said they were using up weapons that had been earmarked for fighting against China. (The US has long planned to goad China into war with “defending Taiwan” as the designated “casus belli”, a classical military term for “officially declared excuse”).

PLANES ‘FALLING OFF’ CARRIER

After a second US$60 million aircraft fell off an aircraft carrier last week, Trump had had enough.

So even though he had promised that the Houthis would be “completely annihilated”, Trump told the military to stop even trying. They grounded their aircraft, but of course declared victory for the US, although it was clearly a capitulation.

The Houthis agreed to halt their attacks on US ships—but pointedly said that any ship providing goods for use of the Israeli army in the ongoing slaughter in Gaza would remain valid targets.

ADMIRING TONE
The Houthis have become heroes to many, for being the only group in the world to take practical action to help the trapped, bombed populace of Gaza.

Not to mention the fact that one of the poorest nations on earth was standing up to the military of the wealthy US and UK.

The New York Times noted that even the US President spoke about them in an admiring tone.

“We hit them very hard and they had a great ability to withstand punishment,” Trump said. “You could say there was a lot of bravery there.”

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General Unipolar vs Multi-polar 14-May-2025 by east is rising

Chinese space power plant will generate an incredible amount of solar energy

China is taking a bold step towards a greener future by launching a massive solar power plant into space. The plant, which will be about 1 kilometer wide and positioned 36,000 kilometers above Earth, is set to harness the sun's energy in a way never done before. The facility will be placed in geostationary orbit, meaning it will remain fixed in the same position above Earth, always facing the sun.

The goal of this project is nothing short of remarkable. The solar power plant is expected to generate an amount of energy each year equivalent to all the oil that can still be extracted on Earth. This is a massive leap forward in renewable energy technology, as it promises to provide a consistent and vast source of clean power. The energy generated by the plant will then be transmitted back to Earth via microwaves, a technology that could drastically change the way we power our planet.

Chinese aerospace engineer Long Lehao compared the significance of this project to the Three Gorges Dam, the world’s largest producer of hydropower. "It’s as important as moving the Three Gorges Dam to a geostationary orbit 36,000 kilometers above the Earth," he said. This comparison highlights the monumental scale of the project, which is expected to make a huge impact on global energy production.

One of the key advantages of space-based solar panels is that they are not affected by weather conditions, daylight, or seasons, allowing them to continuously harvest energy. In fact, space photovoltaic panels are estimated to be ten times more efficient than those on Earth, offering a huge potential for sustainable energy generation.

Work on this ambitious space solar power plant began in 2019, and China plans to launch the plant into orbit using the Long March-9 rocket, which is capable of carrying heavy payloads into space. Once operational, the plant could help provide a significant portion of the world’s energy needs, marking a major milestone in clean energy technology.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 14-May-2025 by east is rising

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আড়ালে চীনের অস্ত্র বাণিজ্যের উত্থান

বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ চীন অস্ত্র রপ্তানিতে বিশ্বের টপ ফাইভ কান্ট্রি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ফ্রান্সের পরেই চীনের অবস্থান। তবে সম্প্রতি ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারনে রাশিয়াকে মারাত্মকভাবে সাফার করতে হচ্ছে। এমতবস্থায় রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি অনেকাংশেই বন্ধ, আর সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সেই জায়গা অনেকটাই দখল করে ফেলেছে চীন।

চীন বর্তমানে পৃথিবীর চল্লিশটিরও অধিক দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে। চীন থেকে অস্ত্র ক্রয় করা দেশগুলোর মাঝে বাংলাদেশ রয়েছে টপ টু'তে। প্রথম স্থানে পাকিস্তান, এরপর বাংলাদেশ, তৃতীয় অবস্থানে মায়ানমার এবং চতুর্থ আলজেরিয়া।

অস্ত্র বাণিজ্য প্রসারিত করতে চীন ২০২০ সালে সর্বপ্রথম ইউরোপের দেশ সার্বিয়ায় প্রবেশ করে। সেই বছর প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে সার্বিয়ার কাছে সফিস্টিকেটেড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রি করতে সমর্থ হয় চীন। এরপর ২০২১ সালে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিকে জেএফ স্যাভেন্টিন থান্ডার কিনতে লবিং করে চীন; যদিও মার্কিন চাপের মুখে চীনের মার্কেটিং পলিসি ধোপে টিকেনি। এছাড়া রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২০২৪ সালে সৌদি আরবে একটি ডিফেন্স এক্সিবিশনে চীনের প্রায় ৪০ টি ডিফেন্স কম্পানী “Chaina Defence” নামে একটি ব্যানারে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তাক লাগিয়ে দেয়। একই বছর দুবাই এয়ার শোতে চীন প্রথমবারের মত তাদের জে টেন এবং ওয়াই টুয়েন্টি হেভি লিফট ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ফ্লাই করে।

প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী চীনের এই অস্ত্র রপ্তানি বৃদ্ধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন, একদিকে চাইনিজ অস্ত্র মার্কিন অস্ত্রের চেয়ে দামের দিক থেকে অনেক রিজনেবল, এছাড়া চাইনিজ অস্ত্রের রিপেয়ার, মেইন্টানেন্স খরচ কম, সহজলভ্য স্পেয়ার পার্টস এবং মার্কিন অস্ত্রের তুলনায় দ্রুত ডেলিভারি পাওয়া যায়― যে বিষয়গুলি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনো মূল্যে চীনের এই অগ্রযাত্রা রোধ করা হবে।

দুটি উপায়ে চীনের অস্ত্র রপ্তানি লিমিট করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমটি, চাইনিজ ডিফেন্স কোম্পানি গুলিকে স্যাংকশন দেওয়ার মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়টি ক্রেতা দেশ গুলিকে জোরপূর্বক বা ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে চীন থেকে দূরে রাখার মাধ্যমে

চাইনিজ ডিফেন্স কোম্পানিকে স্যংকশন দিয়ে অস্ত্র রপ্তানি লিমিট করার কনসেপ্ট প্রথম শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালে চাইনিজ মিলিটারি এক্সপোর্ট লিমিট করতে এক্সিকিউটিভ অর্ডার- I3959 জারি করেন, যা পরবর্তীতে জো বাইডেন এডমিনস্ট্রেশনও অনুসরণ করার মাধ্যমে আরো কড়াভাবে চাইনিজ ডিফেন্স কম্পানিগুলিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এক্সিকিউটিভ অর্ডার-I4032 সাইন করে। এছাড়া বাইডেন চীনের বেশ কয়েকটি নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটির উপরও স্যাংকশন দেয়। অর্থাৎ চীনের অস্ত্র বাণিজ্য রুখতে যারপরনাই করছে যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু গতকাল পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতের অপারেশন সিঁদুর পরিচালনার পরপরই যখন খবর আসতে শুরু করে- চীনা যুদ্ধবিমান এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর ফ্রেঞ্চ নির্মিত মিরেজ, রুশ মিগ-২৯, সু-৩০ শুটডাউন হয়েছে; মুহূর্তেই চীনের স্টক মার্কেটে চেংদু এভিয়েশনের শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে শতভাগ নিশ্চিত না হলেও রাফালে শুটডাউনের খবরে ডাসল্ট এভিয়েশনের শেয়ারের মূল্য অলৌকিকভাবে কমতে থাকে।

পোস্টে সংযোজিত ছবিটা খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, এক রাতে চীনের চেংদু এভিয়েশনের শেয়ারের মূল্য প্রায় পনেরো শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পৃথিবী জুড়েই এখন জে টেন যুদ্ধবিমান এবং এইচকিউ নাইন এয়ার ডিফেন্সের সুনাম।

খুব দ্রুতই দেখতে পাবেন, বেশ কয়েকটি দেশ জে টেন অর্ডার করবে। চীনের যে অস্ত্র বাণিজ্য যুক্তরাষ্ট্র রুখতে চাইছিল তা মাঠেমারা। উল্টো পাকিস্তানের মাধ্যমে আরো চাঙ্গা হয়ে উঠবে চীনের অস্ত্র বাণিজ্য।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General USA vs China 14-May-2025 by east is rising

China Sold Goods Destined for the US to ASEAN

CHINA HAS ALREADY sold huge amounts of products originally meant for US consumers to its neighbors, it was revealed today.

And the neighbors are buying big, giving China giant an 8.1% boost in export sales, surprising analysts.

"In early April, I said that Trump's tariffs on China will strengthen trade ties between China and the rest of the world in the next few years," said Prof Justin Hauge of Cambridge University in the UK, commenting on X. "It didn't take a few years. It took a month."

This is bad news for US Treasury chief Scott Bessent as he heads into negotiations later today in Switzerland, to bargain with Chinese Vice Premier He Lifeng.

THE NUMBERS

Newly published figures show exports from China rose a staggering 8.1% in April, compared to this time last year. Most of the goods are being snapped up by Indonesia, Vietnam, Thailand, and other countries.

Bloomberg's stable of analysts predicted a 2% rise and Reuters predicted a 1.9% jump.

The 8.1% leap follows 12.4% growth in March, when exporters worked overtime to beat the April 2 launch of Donald Trump's "global tariff attack".

The Financial Times quoted Heron Lim, an economist at Moody’s Analytics, saying that, while China's trade with the US dropped 21% year-on-year in April, it rose by an equal percentage with south-east Asian nations and 8 per cent with the EU.

Economists have been arguing that the US has an inability to see itself as it really is, a community of just 4.25% of the world.

China, which is focused on trade rather than politics, makes goods for anyone who will buy—and that means the other 95% of humanity will do just fine as substitute customers. 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General USA vs China 14-May-2025 by east is rising

Chinese intelligence report on the ouster of Syrian President

A report published by Chinese intelligence reveals controversial details regarding the change of power in Syria to Abu Mohammed Al-Jolani.

The report confirms that what happened was the result of internal betrayal by senior Syrian army officials, bribed with Qatari money, who played a key role in implementing a complex international and regional plan.

According to the report, on the night Aleppo fell, officers of the Syrian army's central command committed a serious crime of treason by isolating Iranian consultant commander Bur Hashmi (aka "Hajj Hashim") in a conference room.

After isolating the Iranian commander, these officers directly contacted the Israeli Mossad, paving the way for the Free Sham Front to advance and occupy the city in just 45 minutes without any resistance.

The spread of betrayal.

This betrayal was not limited to Aleppo; other Syrian cities were similarly surrendered. Syrian officials also sent false coordinates to Hezbollah, which trapped it and led to the destruction of a convoy of 100 vehicles belonging to Hezbollah following Israeli strikes.

Concurrent with this event, the US Air Force targeted Iraqi Popular Militia forces near the Syrian border, in coordination with Israeli operations.

Deceiving Bashar al-Assad.

Despite Iranian warnings, Syrian President Bashar al-Assad remained unaware of the extent of the betrayal within his army. He was receiving false reports from his close agents, who kept him isolated and ignorant of the situation on the ground.

As losses mounted, President Assad began to doubt the loyalty of his superiors. According to the report, the final plan was to hand him over directly to the Al-Nusrah Front (the mock Liberation Authority). Aware of the imminent danger, President Bashar al-Assad sought direct assistance from Russian President Vladimir Putin.

The report indicates that this operation was planned and executed in coordination with several international intelligence agencies: the British intelligence service (MI6) , the Israeli Mossad , and the CIA, under the direct supervision of Turkish President Recep Tayyip Erdogan.

The coming days could reveal more details about this complex process, which combined internal betrayals and international collusion to reshape the Syrian landscape according to the agendas of major regional powers, the Chinese report indicates.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General Unipolar vs Multi-polar 14-May-2025 by east is rising

Japanese Internet Speed

Japan's NICT has set a new internet speed record of 402 terabits per second using standard optical fiber, making data transfer over 1,000 times faster than typical home connections. This milestone, achieved through advanced amplification techniques, promises faster, more efficient communication.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 14-May-2025 by east is rising

U.S. Stock Market Slips as Global Markets Thrive

According to S&P Global, U.S. stock market capitalization declined 6.0% from December 2024 to April 2025, weighed down by economic uncertainty and trade tensions that hit big tech stocks particularly hard.

In contrast, global markets posted strong gains, with Spain (+24.3%), Germany (+20.6%), Brazil (+20.4%), Mexico (+18.6%), Italy (+16.9%), Sweden (+14.9%), the EU (+14.6%), and Switzerland (+14.0%) leading the rebound.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 14-May-2025 by east is rising

China unveils world’s fastest hard drive capable of erasing and rewriting data 100,000 times faster than before

In a groundbreaking achievement, Chinese scientists have unveiled the fastest flash memory ever created, capable of erasing and rewriting data in just 400 picoseconds—one trillionth of a second. Developed by researchers at Fudan University, this revolutionary memory device, called “Poxiao” or Dawn, is poised to redefine the speed of data storage and significantly enhance the performance of artificial intelligence (AI) systems. This breakthrough shatters current speed barriers by an incredible 100,000 times.

Traditional memory systems, such as volatile memories like SRAM and DRAM, provide high-speed access but come with limitations in capacity, power consumption, and vulnerability to power loss. Non-volatile memory like flash storage, on the other hand, offers larger storage and data persistence but has struggled with slower speeds.

The breakthrough achieved by the Fudan University team lies in their new approach to accelerating flash memory. Previously, the method involved pre-accelerating electrons before they entered and exited the memory cells, but this process was slow and limited by theoretical speed ceilings. Instead, the researchers introduced a novel technique called “2D-enhanced hot-carrier injection,” allowing electrons to transition directly from a low-speed to a high-speed state, bypassing the need for a “warm-up” phase.

This innovation has led to the creation of a prototype that erases and rewrites data at an unprecedented speed of 400 picoseconds, far surpassing the speed of traditional flash memory and even volatile memory like SRAM. While the current prototype only holds kilobytes of data, its design could revolutionize the future of computing and AI. The researchers believe that once scaled up, this technology will completely disrupt the existing storage architecture, enabling computers to eliminate the distinction between memory and external storage.

Read More

Author:

Technology news General 14-May-2025 by east is rising

দ্রাবিড় ভাষী অঞ্চল

আজকে আপনাদের এমন একটা ভাষা নিয়ে আলোচনা করব যা প্রকৃতপক্ষে দ্রাভিড় ভাষাগোষ্ঠীর হলেও সুদূর বেলুচিস্তানের অন্যতম প্রধান ভাষা।

ব্রাহুই হলো দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর উত্তর দ্রাবিড় শাখার একটি ভাষা। এটি মূলত পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানে প্রচলিত। ভারতের উত্তর পশ্চিমাংশে পাঞ্জাব রাজ্যে বিচ্ছিন্নভাবে ভাষাটি প্রচলিত হলেও পশ্চিমবঙ্গে কেবলমাত্র উত্তর দিনাজপুর জেলায় বসবাসকারী ইরানীয় জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে পারসী ছাড়াও এই ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এটি একটি দ্রাবিড় ভাষা হলেও দ্রাবিড় ভাষাসমূহের পীঠস্থান দক্ষিণ ভারত থেকে ভৌগোলিকভাবে ভাষাটি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই ভাষার নিজস্ব কোনো লিপি না থাকায় নাস্তালিক ও ল্যাটিন লিপি ব্যবহার করে ভাষাটিকে লিখিত রূপ দেওয়া হয়। ভাষাটি প্রধানত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ এবং তার সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের হিরাট ও হেলমন্দ পার্বত্য এলাকায় প্রচলিত।

ব্রাহুই ভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নিকটবর্তী বালুচ ভাষার সাদৃশ্য পাওয়া গেলেও দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর অন্যান্য ভাষায় সেই বৈশিষ্ট্যগুলি অনুপস্থিত। ব্রাহুই ভাষার শব্দভাণ্ডার অনেকাংশেই বালুচ ভাষার দ্বারা প্রভাবিত, অথবা বালুচ ভাষা থেকে সরাসরি ব্রাহুই ভাষায় প্রবেশ করেছে। সাউথওয়ার্থ (২০১২) এর মতে, ব্রাহুই দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা নয়, এটি ‘জাগ্রোসিয়ান’ ভাষা পরিবারের একটি ভাষা, যার জন্ম দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায়, এবং এটি আর্যদের আগমনের পূর্বে ব্যাপকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাষার কোনো প্রকারের অস্তিত্বের কথা সেভাবে জানা না গেলেও ঝালওয়ানি ও সারওয়ানি নামে দুটি প্রকার (যথাক্রমে দক্ষিণ ও উত্তর) এই ভাষায় বর্তমান। পারসী, বালুচ ও পুস্ত ভাষা ব্রাহুই ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে।

ব্রাহুই জনজাতির মধ্যে তিনটি বিভাগ দেখা যায়, যাদের মধ্যে ঝালওয়ানি ও সারওয়ানি-এই দুটি বিভাগের জনসংখ্যা অধিক। ব্রাহুই জনজাতির মধ্যে বর্তমানে সর্বমোট ২৭টি উপজাতি রয়েছে। ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে ই ট্রাম্প সর্বপ্রথম ব্রাহুই ভাষা ও জনজাতি সম্পর্কে একটি প্রামাণ্য গবেষণার মাধ্যমে ভাষাটিকে কুরুখ ও মালতো ভাষার সঙ্গে একই উপশাখার অন্তর্ভুক্ত করেন। বর্তমানে ব্রাহুই ভাষার শব্দের মাত্র ১৫ শতাংশের উৎপত্তি দ্রাবিড় ভাষাসমূহ থেকে হয়েছে।

ব্রাহুই ভাষার স্বরবর্ণগুলি লং অর্থাৎ দীর্ঘ, শর্ট অর্থাৎ হ্রস্ব, এবং ডিপথং- এই তিনটি শ্রেণির হয়। ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে প্লোসিভ অথবা স্টপ, ন্যাসাল, ফ্রিকেটিভ, ল্যাটারাল, রোটিক ও গ্লাইড- এই প্রকারগুলির অস্তিত্ব রয়েছে। রেট্রোফ্লেক্সন ধর্মটি দেখা গেলেও পার্শ্ববর্তী অন্য ভাষার মতো অ্যাসপিরেশন ধর্মটি লক্ষ্য করা যায় না। নিকটবর্তী বালুচ ভাষার চেয়ে ব্রাহুই ভাষায় ফ্রিকেটিভ ও ন্যাসাল কনসোনেন্ট অর্থাৎ ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা বেশি। ব্রাহুই ভাষায় স্ট্রেস ‘কোয়ান্টিটি-বেসড-প্যাটার্ন’ অনুসরণ করে। সবসময় শব্দের প্রথম দীর্ঘস্বর অথবা ডিপথং এর উপর স্ট্রেস বসে। মূলত পাকিস্তানে ভাষাটি প্রচলিত, ইউনেস্কো ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহুই ভাষাকে পাকিস্তানের ২৭টি বিপন্ন ভাষার মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে এই জনজাতির বেশ কিছু মানুষের মধ্যে দ্বিভাষিক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, এরা ব্রাহুই ও বালুচ- দুইটি ভাষাতেই পারদর্শী।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 14-May-2025 by east is rising

পঃ বঙ্গের অভিনেতারা আর হয়তো বাংলাদেশের বাজারকে কাজে লাগিয়ে বাঁচতে পারবেনাঃ পঃ বঙ্গে এমনিতেও অবস্থা খারাপ পঃ বঙ্গের অভিনেতাদের

পাকিস্তানের সঙ্গে দ্ব*ন্দ্ব নিয়ে উত্তাল ভারতের পরিস্থিতি। অপারেশন সিঁদুরকে সমর্থন ও প্রশংসা জানিয়ে নানা মন্তব্যও করছেন ওপার বাংলার তারকারা। এমন আবহে বাংলাদেশকে স্মৃতিচারণ করে পোস্ট দিয়েছিলেন টালিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। আর এ নিয়ে নেটিজেনদের খানিক তো*পের মুখে পড়েন তিনি।

টালিউডের প্রথম সারির অভিনেতা অঙ্কুশ। তার দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে একাধিক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। শুধু টালিউড নয়, ঢালিউডের নানা অভিনেতা ও প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছেন এই নায়ক। শুধু কলকাতাতেই নয়, বাংলাদেশেও প্রচুর অনুরাগী রয়েছে অঙ্কুশের। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, নুসরাত ফারিয়ার মতো তারকাদের বিপরীতে একাধিক ছবিতে কাজ করে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা।

বাংলাদেশে বেশ আপ্যায়ন পেয়েছেন অঙ্কুশ। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের প্রতি অঙ্কুশের বিস্তর ভালোলাগা। সেই কথাই যেন অনুরাগীদের আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন নায়ক।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি ভাগ করে নেন অঙ্কুশ। ছবিটির ক্যাপশনে লেখেন, 'হঠাৎ খুঁজে পেলাম। প্রায় ১১ বছর আগের ছবি । শেষবার বাংলাদেশে গিয়েছিলাম শ্যুটিং করতে। অপেক্ষায় থাকলাম আবার কবে যেতে পারব। কারণ সবথেকে বেশি ভালোবাসা অভিনেতা হিসেবে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যদি কোথাও পেয়ে থাকি সেটা হল বাংলাদেশ।'

অঙ্কুশের এই পোস্ট দেখে বাংলাদেশি ভক্তরা আপ্লুত হলেও গাত্রদাহ শুরু হয় কিছু ভারতীয় নেটিজেনদের। এক ভারতীয় নেটিজেন মন্তব্য ঘরে লিখেছেন, 'আদিখ্যেতা'। তবে সেই পোস্টটি আর অভিনেতার টাইমলাইনে আর দেখা যায়নি। তবে গুগল সার্চ এর কেচ রেকর্ড এ সেই পোস্টের আলামত পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত ৪৫ হাজার প্রতিক্রিয়া ছিল অঙ্কুশের সেই পোস্টে। কী কারণে ডিলিট করলেন, তা নিয়ে অবশ্য নানা সন্দেহের দানা বেঁধেছে নায়কের বাংলাদেশি ভক্তদের।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Hindu 14-May-2025 by east is rising

২০২৫ ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের একটা বিশ্লেষণ

প্রথমেই মনে রাখতে হবে কূটনীতি হল শান্তিপূর্ণ যুদ্ধ আর যুদ্ধ মানে অশান্তিপূর্ণ কূটনীতি। পেহেলগাও সন্ত্রাসের পরে ভারত সরকার পাকিস্তান সরকারকে সন্ত্রাসীদের প্রধান সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। পেহেলগাও সন্ত্রাসীদের কাউকে গ্রেফতার করে যদি তার থেকে তথ্য বের করে বলা যেত যে পাকিস্তান সরকার দোষী তাহলে সবচেয়ে ভালো হত। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল বিশ্বের সামনে পেহেলগাও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের কোনো যোগাযোগ ভারত সরকার বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের কোনও দেশই এই যুদ্ধের পক্ষে দাড়ায়নি। তিন বৃহৎ শক্তির (চীন মার্কিন রাশা) প্রত্যেকে ভারত সরকারকে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বলে। চীন সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়ায়। তুর্কিয়ে ও আজারবাইজানও পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি দাঁড়ায়। ভারতের পাশে কেবল ইসরাইল দাঁড়ায় যে বর্তমানে বিশ্বে প্যালস্তাইন যুদ্ধের কারণে খুবই কুখ্যাত। প্রমাণ ছাড়া যুদ্ধে যাওয়া প্রথম থেকেই কূটনৈতিক পরাজয় বলা যায়। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তাদের সাথে পাকিস্তান সরকারের যোগাযোগের কিছু প্রমাণ যোগাড় করে ভারত সরকারের যুদ্ধে যাওয়া উচিত ছিল। প্রয়োজনে আরও সময় নিয়ে। তাহলে কেউ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াত না খোলাখুলি ভাবে। লুকিয়ে লুকিয়ে সাহায্য করত হয়তো।

এবার যুদ্ধে আসা যাক। প্রথমে একটা খবর আসে যে ভারতের ৪টে রাফাল ফাইটার-কে পাকিস্তান তড়িৎ চুম্বকিয় তরঙ্গ দিয়ে অচল করে দিয়েছে। তার দু দিন পরেই ৭ই মে ভারত-এর বিমান বাহিনী ৮৫টা ফাইটার পাঠায় পাকিস্তানের ভেতরে ভারত-এর মধ্যে থেকেই মিসাইল আঘাত করতে। ৯টা অসামরিক অঞ্চলে মিসাইল আঘাত হানে। ভারত সরকার এই অসামরিক অঞ্চলগুলোকে (যার মধ্যে আছে মাদ্রাসা ও মসজিদ) সন্ত্রাসীদের আস্তানা বলে। পাকিস্তান ৩টে জায়গায় আঘাতের কথা স্বীকার করে এবং এই অঞ্চলগুলোকে সাধারণ মানুষের অঞ্চল বলে। পাকিস্তান ৮৫টা ভারতীয় ফাইটারকে আটকাতে ৪০টা ফাইটার পাঠায়। পাকিস্তান দাবী করে তারা ৩টে ভারতীয় রাফাল, ১টা শু আর একটা মিরাজ বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। ভারত এই দাবী স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করেনি। এবং ভারত কোনও পাকিস্তানী বিমান ভূপাতিত করার দাবী জানায়নি। পাকিস্তান আরও জানায় যে তারা চীনের তৈরি জে১০সি বিমান দিয়ে ফ্রান্সের তৈরি ৩টে রাফাল ভূপাতিত করতে পেরেছে। পাকিস্তানের দাবী সঠিক হলে রাফাল বিশ্বে প্রথম কোথাও বিমান যুদ্ধে ভূপাতিত হল। এর পরেই দেখা যায় রাফাল বিমান নির্মাতা কম্পানী "দেশো"-র শেয়ার মূল্য-এ ধ্বস নামে ও জে১০সি নির্মাতা "চেংদু এভিসি" কম্পানীর শেয়ার মূল্য ৪০% বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও "মারটিন বেকার" কম্পানী যারা পশ্চীমা সমস্ত ফাইটারের পাইলটের সিট নির্মাণ করে, তারা জানায় যে ওই দিন তাদের তিনটে পাইলট সিট ধ্বংস হয়েছে (সোর্স কোড বা সফটওয়ের ব্যবহার করে বোঝা যায় সিট ধ্বংস হল)। পাকিস্তান জানায় জে১০সি, চীনা পি এল-১৫ মিসাইল ও চীনা বেইদাউ স্যাটেলাইট নেভিগেশন ব্যবহার করে (চীনা বেইদাউ মার্কিন জিপিএস-এর চেয়ে ভালো কাজ করে কারণ জিপিএস ব্যবহার করে পুরনো ৩৮টা স্যাটেলাইট আর বিদাউ ব্যবহার করে নতুন ৪৪টা স্যাটেলাইট যা শিঘ্রই ৫০টা স্যাটেলাইট হবে) ভারতীয় রাফাল ভূপাতিত করা হয়েছে। পাকিস্তান আরও জানায় যে তারা ভারতের ১৫টা বিমান লক করতে পেরেছিল অর্থাৎ তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে ১৫টা বিমানকে তারা অচল করে দেয় এবং রাফালের র‍্যাডারের আওতার বাইরে থেকে ৫টা পি এল ১৫ মিসাইল ছুড়ে ৫টা (যার মধ্যে ৩টে রাফাল) বিমান ধ্বংস করে। তারা ১৫টা বিমান ভূপাতিত করেনি কারণ তারা যুদ্ধ-কে আরো খারাপ জায়গায় নিয়ে যেতে চায়নি। মনে রাখা দরকার ভারত সেনবাহিনীও ৯টা আঘাতের কথা বলে জানায় তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওপর কোনও আঘাত আনেনি কারণ তারা যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায়না।

এবার প্রশ্ন ৮৫টা ভারতীয় ফাইটার মাত্র ৯টা মিসাইল মেরেছিল কেন? না কি ৮৫টা মিসাইলের মাত্র ৯টা আঘাত হানতে পেরেছিল আর বাকিগুলোকে পাকিস্তানের চীনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এইচ কিউ ১৫ ধ্বংস করে দিয়েছিল। পাকিস্তান অবশ্য তেমন কিছু জানায়নি। তাহলে ৮৫টা ফাইটার গেল কেন? অনেকে বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে আসলে সামনে্র সারিতে থাকা ভারতীয় ফাইটারগুলোকে লক করে ফেলেছিল পাকিস্তান আর তাই পেছনের ফাইটারগুলো আর সামনে যায়নি। যদি প্রথম সারির ফাইটারগুলো লক না হত তাহলে অনেক বেশি মিসাইল আঘাত হানত পাকিস্তানের ভেতরে।

প্রথম দিনের যুদ্ধ শেষে বোঝা যাচ্ছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে আঘাত হেনেছে এবং পাকিস্তানী বিমান বাহিনী পালটা প্রত্যাঘাত করেছে। আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম থেকে বোঝা যাচ্ছিল পাকিস্তান কিছু ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে এবং এর মধ্যে কম্পক্ষে একটা রাফাল। কিন্তু ৯ই মে ভারত সরকার দাবী করে যা পাকিস্তান ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে দিয়ে আঘাত করেছে ভারতের অভ্যন্তরে কিন্তু ভারতের এয়ার দিফেন্স সিস্টেম এস-৪০০ পাকিস্তানের সমস্ত ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করে দিয়েছে। পাকিস্তান ভারতের এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায় পাকিস্তান এখনো কোনও ওপারেশন শুরু করেনি এবং যখন করবে বিশ্বকে জানিয়ে করবে। ভারত অবশ্য দাবী করে তারা পাকিস্তানের আঘাতের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত করছে। ভারত দাবী করে ইসরাইলী ড্রোন হারপ ব্যবহার করে তারা বহু পাকিস্তানী সেনার আস্তানায় বহু শহরে আঘাত হেনেছে। এবং লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এইচ কিউ ১৫ ধ্বংস করে দিয়েছে। পাকিস্তান জানায় তুর্কিয়ে নির্মিত কোরেল-জাত তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ দিয়ে ৯০টা হারপ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে এবং কেবল একটা লাহোরে আঘাত হানতে পেরেছে আর তাতে তিন সেনা আহত ও এক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। ১০ই মে দুই দেশের মিডিয়া অনেক অস্বাভাবিক দাবী জানায় যার অধিকাংশই পরের দিন মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়।

১১ই মে পাকিস্তান তাদের অপারেশন শুরু করে বিশ্বকে জানিয়ে। তারা দাবী করে ফাতেহ মিসাইল দিয়ে তারা ভাতিন্দায় একটা ব্রাক্ষস মিসাইলের ভাণ্ডার ধ্বংস করে দিয়েছে, অধোমপুরে এস-৪০০ ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়াও অনেক বিমান ঘাটিতে আঘাত হেনেছে। ভারত সরকার পালটা অনেক পাকিস্তানী বিমান ঘাটিতে প্রত্যাঘাত করে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই দাবী করে যে তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শ্ত্রু মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে।

এরপরেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প টুইট করে জানায় যে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে বিরতী হয়েছে। পাকিস্তান জানায় ভারত মার্কিন সরকারকে যুদ্ধ বিরতি করতে অনুরোধ করেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদী জানায় যে পাকিস্তান ভারতকে যুদ্ধ বিরতি করতে অনুরোধ করে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সি এন এন জানায় যে ভারত মার্কিন সরকারকে জানায় যে পাকিস্তান পরমাণু বোমা-এর কমিটির মিটিং ডেকেছে আর তাই মার্কিন সরকার যেন পাকিস্তান-কে আটকায়। মার্কিন বিশেষজ্ঞ-রা জানায় পাকিস্তানের ফাতেহ মিসাইল সত্যি সত্যি এস-৪০০ ও ব্রাক্ষস মিসাইল ভাণ্ডার ধ্বংস করতে পেরেছে দেখে ভারত যুদ্ধ বিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে। ট্রাম্প পরে জানায় যে সে না কি বাণিজ্য কমিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধ বিরতিতে বাধ্য করেছে।

৭ই মে-র বিমান যুদ্ধে পাকিস্তানের বিজয় বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃত হোলেও, ৯ই মে ,১০ই মে ও ১১ই মে-র মিসাইল যুদ্ধের ফলাফল ঠিক পরিস্কার নয়। মোদী অধোমপুরে গিয়ে পেছনে এস-৪০০-র ছবি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে পাকিস্তানের দাবী মিথ্যে। পাকিস্তান ডিজিটাল সিগনেচার প্রকাশ করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে যে ৯ই মে-র ভারতের অভ্যন্তরে ঘটা ড্রোন ও মিসাইল আঘাত পাকিস্তানের কাজ নয়। লাহোরের সমগ্র এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করার ভারতীয় দাবীর পক্ষে বা বিপক্ষে সেরকম প্রমান পাওয়া যায়নি।

তবে বিষ্ময়ের বিষয় মার্কিন রাষ্ট্রপতি ভারত পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি প্রথম ঘোষণা করে। পাকিস্তান মার্কিন মধ্যস্ততার কথা স্বীকার করলেও ভারত মার্কিন মধ্যস্ততাই স্বীকার করেনি। মোদীর মতে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি হয়েছে, মার্কিন মধ্যস্ততার কথাই সেখানে নেই। পাকিস্তান ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে ভারত-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে যুদ্ধ বিরতিতে মধ্যস্ততা করতে। একথা বলাই যায় যে প্রথম দিনের ভারতের আঘাত ও পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের দাবীর মধ্যেই দুই দেশের সেনাবাহিনীর কেউ-ই যে যুদ্ধ-কে বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে রাজি নয় তা বলে দিয়েছিল। দুই দেশই একটা সীমিত গণ্ডির মধ্যে থেকে যুদ্ধ করতে চেয়েছে। প্রথম দিনের বিমান যুদ্ধে পাকিস্তান এগিয়ে যাওয়ায়, ভারতের ওপর চাপ এসে পরে মিসাইল ও ড্রোন যুদ্ধে নিজেদের প্রমাণ করার। আমার মতে ভারত সরকারের উচিত ছিল মিসাইল ও ড্রোন যুদ্ধে বিশ্বের স্বীকৃতি আদায় করা অবধি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। যদি ধরে নেওয়া যায় যে পাকিস্তানের মিসাইল আঘাতের ভয়াবহতা বা পাকিস্তানের পরমাণু বোমা কমিটি-কে সক্রিয় হতে দেখে ভারত সরকার ভয় পেয়ে যুদ্ধ বিরতি করেছে তবে এই যুদ্ধে ভারত-কে সম্পূর্ণ পরাস্ত বলতে হয়। আর যদি ধরে নেওয়া যায় যে ভারতের মিসাইল ও ড্রোন আঘাতের ভয়াবহতা দেখে পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতি চেয়েছে তাহলেও ভারতের যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়া ভারতের পরাজয়। কারণ তাহলে বলতে হয় পাকিস্তান-কে সম্পূর্ণ রূপে পরাস্ত করার সুযোগ হাতছাড়া করাও পরাজয়। আর তা যদি মার্কিন চাপে হয় তবে তা ভারতের পক্ষে বিশাল কূটনৈতিক হার।

এই যুদ্ধের ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুর্বলতা সামনে চলে এল। এই যুদ্ধ চীনা যুদ্ধ বিমানকে উন্নত পশ্চীমা যুদ্ধ বিমানের বিরুদ্ধে জয়ী ঘোষণা করল। ফলে বিশ্ব অস্ত্র ব্যবসায় চীন বিশাল্ভাবে লাভবান হতে চলেছে। ফলে বিভিন্ন দেশের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির সুযোগও চীনের বাড়বে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব-এর প্রধান নিরাপত্তা প্রদানকারী দেশ হিসেবে যে অবস্থান তাও ধরাশায়ী হয়ে যেতে পারে। হয়তো চীনা বিমানের সাফল্য পর্যালোচনা করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান-কে যুদ্ধ বিরতিতে যেতে বাধ্য করেছে। কারণ এই যুদ্ধ আরও এগোলে যদি চীনা অস্ত্র আরও কেরামতি দেখায় তাহলে মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায় বিরাট বিপর্যয় নামতে বাধ্য।

শেষে বলা যায় ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পেহেলগাও সন্ত্রাসীদের সাথে যোগ-এর প্রমাণ বিশ্বের সামনে তুলে ধরা উচিত ছিল। এটা না করায় যুদ্ধের আগেই কূটনৈতিক দিকে ভারত পিছিয়ে পড়েছিল। ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল-এর সোর্স কোড না নিয়ে রাফাল-কে চীনা জে১০সি-র মুখোমুখি দাঁড় করানো বড়ো ভুল। কারণ পাকিস্তান-কে চীন জে১০সি-র সোর্স কোড প্রথম থেকেই দিয়ে রেখেছে। প্রথমেই ইসরাইলী হারপ ড্রোন দিয়ে আঘাত করলে হয়তো ভালো হোত। কারণ হারপ খুব কম উচ্চতায় ওড়ে বলে তার বিরুদ্ধে যে কোনও এয়ার ডিফেন্স অকার্যকর থাকত। আর তুর্কি কোরেল তড়িৎ চুম্বকিয় তরঙ্গ সব আটকাতে পারতনা যদি এক সাথে অনেক বেশি হারপ ড্রোন ব্যবহার করত। বেশি সংখ্যায় ব্রাক্ষস মিসাইলও সরাসরি মিসাইল সাইট থেকে নিক্ষেপ করলেও পাকিস্তানের চীনা এয়ার ডিফেন্স এইচ কিউ ১৫ সমস্ত মিসাইল আটকাতে পারতনা। পাকিস্তান হয়তো তখন বিমান দিয়ে কিছু প্রত্যাঘাত করত। তাতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হোলেও পাকিস্তান-কে বিজয়ী ভাবা হতনা আন্তরজাতিক গণমাধ্যমে। আর প্রথমে যখন ভুল হয়েছে তখন লড়াই দীর্ঘ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী-কে নাস্তানাবুদ করার কথা ভাবা উচিত ছিল। যুদ্ধ দীর্ঘ হলে ভারত ও পাকিস্তানের উভয়েরই অর্থনৈতিক ক্ষতি হত। যেমন ভারতের পুঁজির বাজার থেকে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বিনিয়োগ চলে গেছে এই যুদ্ধের সময়ে। কিন্তু ভারত-এর ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিসার্ভ আছে। তাই ভারত ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার-এর বিনিয়োগ চলে গেলেও টিকে থাকত। পাকিস্তান কি পারত এত চাপ নিতে?

যুদ্ধে যাওয়ার আগে মাথায় রাখা উচিত ছিল যে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী পাকিস্তানের শক্তির জায়গা আর পাকিস্তানের অর্থনীতি পাকিস্তানের দুর্বল জায়গা। তাই এক মাস ব্যাপী যুদ্ধ করে ভারতের উচিত ছিল বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি স্বীকার করার ক্ষমতা দিয়ে পাকিস্তানকে পরাজিত করা। বিমান বাহিনী দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে মাত্র ৪ দিনেই যুদ্ধ শেষ করে দিয়ে ভারত সরকার বড়ো ভুল করল। চীন-মার্কিন ঠাণ্ডা যুদ্ধে ভারত চীনকে অনেক এগিয়ে দিল কারণ এই যুদ্ধে নিজেদের অস্ত্রের বিজ্ঞাপন করে চীন মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায়েও ভাগ বসাতে চলল। চীনের শক্তি বাড়া মানেই পাকিস্তানের শক্তি বাড়া। বাংলাদেশের জুলাই অগাস্ট বিপ্লবের পরে এবং মালদ্বীপে মুইজু ক্ষমতায় আসার পরে বিশ্ব বুঝে গেছিল যে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। এখন ২০২৫-এর মে মাসের ৪ দিনের যুদ্ধের ফলে ভারত দক্ষিণ এশিয়াতে সামরিকভাবেও নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলল। সামনের দিনে চীন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা-কে ব্যবহার করে আরও বড় আঘাত করবে ভারতের ওপর। ভারতের উচিত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি না করে দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ করা। পাকিস্তান-কে চীন উন্নত প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র দিতেই থাকবে। ভারত চীনের সাথে পারবেনা। তাই ভারতের উচিত পাকিস্তানকে দীর্ঘ দিন ধরে যুদ্ধে টেনে এনে তার অর্থনীতিকে শেষ করা। কারণ অর্থনীতি ছাড়া ভারত পাকিস্তানের চেয়ে কোথাও এগিয়ে নেই।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 14-May-2025 by east is rising