স্ত্রীর ভার্জিনিটি টেস্ট করানো সংবিধানের একটা ধারার পরিপন্থী কিন্তু স্বামীকে যৌন সক্ষমতার পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে

স্বামীর যৌন সক্ষমতার পরীক্ষা স্বামীকে দিতে হবে। - নাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি‌!! আদালত বলছে: স্ত্রীর ভার্জিনিটি টেস্ট করানো সংবিধানের একটা ধারার পরিপন্থী!!

স্ত্রীর অভিযোগ:

আমার স্বামী সহবাসে অক্ষম। আমার সঙ্গে যৌনতা করছেনা!

স্বামীর অভিযোগ: স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া করছে।

স্বামী বলছে: আমি সহবাসে অক্ষম না।

আদালত বলছে : তুমি যে সহবাসে অক্ষম না সেটা মেডিক্যাল টেস্ট করে প্রমাণ দাও!!!

অর্থাৎ

১)

স্বামীর যৌন সক্ষমতার পরীক্ষা স্বামীকে দিতে হবে। - নাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি‌!!

এদিকে স্বামীর অভিযোগ স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করছে!

স্ত্রী বলছে: এই অভিযোগ মিথ্যে....

স্বামী তখন বলছে: আমার স্ত্রী তো বলছে যে আমি যৌনতায় সক্ষম না, তাহলে আমি যদি যৌনতায় সক্ষম না হই তাহলে আমার স্ত্রী পরকীয়া না করলে স্ত্রীর পক্ষে ভার্জিনিটি হারানো সম্ভব নয়।

আমার স্ত্রীর ভার্জিনিটি টেস্ট হোক..... প্রমাণ হয়ে যাবে সে সেক্সুয়ালি অ্যাক্টিভ কিনা!!

আদালত বলছে: স্ত্রীর ভার্জিনিটি টেস্ট করানো সংবিধানের একটা ধারার পরিপন্থী!!

অর্থাৎ,

পুরুষের রাইট টু প্রাইভেসি বলে কিছু নেই!!

তাকে তার যৌন সক্ষমতার পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন!!

নাহলে মেনে নিতে হবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি‌!

মহিলার রাইট টু প্রাইভেসি আছে!! তাকে কোনো পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে না যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি না মিথ্যে। আদালত কোনো পরীক্ষা না করেই মেনে নেবে যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।

* স্বামী যৌনতার ক্ষেত্রে অক্ষম হলে ডিভোর্স হবে। খোরপোষ দেবে সে।

* স্ত্রীর সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে আদালত ডিভোর্স দিতে দেবে না। বলবে অমানবিকতা। স্বামী ইমপোটেন্ট হলে ডিভোর্স!

* স্ত্রী পরকীয়া করলে সেটা তার স্বেচ্ছাধীন। প্রমাণ করতে দেওয়া হবে না!

কাজেই পরকীয়ার গ্রাউন্ডে খোরপোষ বন্ধ করা যাবে না!

* স্বামী পরকীয়া করলে তার জেল হবে। ডিভোর্স হবে। খোরপোষ দিতে হবে। স্বামী পরকীয়া করলে পরকীয়া প্রেমিকাকে সে কোনোরকমভাবেই ফাঁসাতে পারবেনা।

* স্ত্রী পরকীয়া করলে বলবে:

' বেশ করেছি। ' - বলে ডিভোর্স দিয়ে একদিনও জেল না খেটে একপয়সাও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ফুড়ুৎ!

* নয়তো স্ত্রী পরকীয়া করলে পরিস্থিতি অন্যরকম দেখলে পরকীয়া প্রেমিকের নামে ধর্ষণের মামলা দিয়ে দেবে। স্বামী পরকীয়ার গ্রাউন্ডে খোরপোষ ছাড়া ডিভোর্স দিতে পারবেনা।

* স্বামী পরকীয়া করলে ফেঁসে গিয়ে পরকীয়া প্রেমিকার নামে এরকম কোনো মামলা দিতে পারবে না।

* স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখিয়ে পরকীয়া প্রমাণ করতে দেয়নি কর্ণাটক হাইকোর্ট।

* স্ত্রীর পরকীয়ায় ফলে জন্মানো সন্তানের DNA টেস্ট করতে দিতে চাওয়া হয়না! একাধিক হাইকোর্টের রায় আছে।

 

Read More

Author: Sakib Hasan Piyada

Social Sex War feminism 03-April-2025 by east is rising