বিশ্বের ভয়ংকর খুন ও ধর্ষক রক্ষীবাহিনী


ভারতের রক্ষীবাহিনী পৃথিবীর ভয়ংকর খুনে ও ধর্ষক রক্ষীবাহিনী ধর্ষণের অপরাধে এই বাহিনী বহু বার অভিযুক্ত হয়েছে। ধর্ষক এই রক্ষীবাহিনী কি করে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করে তাহা আমার বোধগম্য নয়। নিম্নে এই রক্ষীবাহিনী কিছু পৈশাচিক কর্মের বিবরণ দেয়া হল :----

১) জুনাগড় ( প্রিন্সলী স্টেট ) :- জুনাগড় মুসলীম শাসক দ্বারা শাসিত ছিল। জুনাগড়ের শেষ শাসক ছিল তৃতীয় মোহাম্মদ। তিনি প্রথমে স্বাধীন ভাবে রাজ্য পরিচালনা করলেও পরে তিনি পাকিস্তানের সাথে একীভূত হতে চান। এটা চরমতম মুসলীম বিদ্বেষী নেহরুকে ক্ষুদ্ধ করে তোলে। জুনাগড়ে বসবাসরত বাভারী এলাকার অমুসলিম দের উসকে দিয়ে বিদ্রোহ করায়। জুনাগড় রক্ষীবাহিনী সেই বিদ্রোহ দমন করে। মুসলীম বিদ্বেষী নেহেরু হিন্দু রক্ষার অজুহাত তুলে ব্রিটিশদের সাহায্যে ১৯৪৭ সেপ্টেম্বর মাসে জুনাগড় দখল করে নেয়। এরপরই শুরু হয় ভারতীয় রক্ষীবাহিনী ও স্থানীয় অমুসলিমদের বর্বরতম গণহত্যা ও ধর্ষণের উৎসব। মাত্র ৮ দিনে ভারতীয় অমুসলিমরা ৩ লাখ মুসলীমকে নৃশংস ভাবে হ★ত্যা করে এবং ১ লক্ষের উপরে মুসলীম নারীদের ধর্ষ*ণ করে। প্রায় ২ লাখ নারীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। যাদের কোনও খোঁজ খবর কেউ আর কোনও দিন পায় নাই। ইতিহাসে এটা জুনাগড় ম্যাসাকার নামে পরিচিত।

২) কাশ্মীর :- ভারত ১৯৪৭ সালে ভারতের ব্রিটিশ অস্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতে কাশ্মির দখল করে নিয়েছিল। আচমকা আক্রমণে কাশ্মীরিরা হতভম্ব হয়ে পড়েছিল। কিন্তু উপজাতি পাঠানরা তাদের তলোয়ার আর গাদা বন্দুক দিয়ে ভারতীয় অমুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। উপজাতি পাঠানদের পাল্টা আক্রমণে ভারতীয় রক্ষীবাহিনী পিছু হটতে থাকে এবং কাশ্মীরের প্রায় ৪০% এলাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কাশ্মীরে স্থিতি হয়ে ভারতের অমুসলিমরা সেইখানকার স্থানীয় অনেক কাশ্মীরি নারীকে ধর্ষ*ণ ও হত্যার মাধ্যমে তাদের বিজয় উদযাপন করেছিল। 

৩) হায়দ্রাবাদ ( প্রিন্সলী ষ্টেট) :- ৮২৬৯৮ বর্গমাইল আয়তনের স্বাধীন দেশ ছিল হায়দারাবাদ। জাতিসংঘে তার সদস্যপদও ছিল। এটা আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুন ছিল। ভারতের অমুসলিম হিন্দুত্ববাদী ট্রাম্প কার্ড খেলে হায়দারাবাদ দখল করেছিল ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ভারতের অমসুলিমদের সাহায্য করেছিল হায়দ্রাবাদের রক্ষীবাহিনী। এই যুদ্ধটা বল্লভ ভাই প্যাটেল এর তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। ইতিহাসে এই ব্যাক্তিকে হায়দ্রাবাদের কসাই বলা হয়ে থাকে। হায়দ্রাবাদ দখল করে মাত্র ৭ দিনে ভারতীয় অমুসলিম সন্ত্রাসীরা ৪ লাখ মানুষকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল। ধর্ষ*ণ করেছিল ২ লাখ মুসলীম নারীকে। যাদের বেশীর ভাগের লাশ কিংবা কোনও খোঁজ খবর তাদের পরিবার কখনও জানতে পারে নাই।

৪) কুনান-পুশপারা ধর্ষণ কান্ড :-  পৃথিবীর ইতিহাসে মাত্র ১ রাতে পুরো গ্রামের নারীদের কখনও ধর্ষণ করা হয় নাই। ভারতের  রক্ষীবাহিনী সেই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী একটি রাষ্ট্র। ১৯৯১ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারী এই ঘৃণ্যতম ঘটনাটি ঘটিয়েছিল ভারতের অমুসলিমরা। অমুসলিমরা এই গ্রামের পুরুষদের আগের দিন মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে নিকটস্থ থানাতে বাধ্যগত ভাবে হাজির হতে নির্দেশ দেয়। পরদিন গ্রামের প্রায় ৭০০ পুরুষ থানাতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের সবােইকে বন্দী করা হয়। সেই রাতে প্রায় ১ রেজিমেন্ট অমুসলিমরা হায়েনার মত গ্রামের নারীদের ইজ্জতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধর্ষণের উল্লাসে কাশ্মীরের পাহাড় কেঁপে উঠেছিল। গ্রামের সব গুলো ঘরেই এই নারকীয় ধর্ষ*ণ  উৎসব হয়েছিল। মা আর মেয়েকে একই সাথেও ধর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু বাধা দেয়ার মত কোনও পুরুষ ছিল না তখন। ৮/৯ বছরের মেয়ে শিশুদেরও রেহাই দেয় নাই হিন্দুর বাচ্চারা। প্রায় ৪০০ নারী ও শিশু অমুসলিমদের লালসার শিকার হয়েছিল। ইতিহাসে এই নারকীয় কান্ডকে কুনান-পুশপারা ধর্ষণ কান্ড নামে পরিচিত। রানা আইয়ুব নামক একজন মহিলা সাংবাদিক এই নারকীয় বিভৎসতাকে প্রথম বিশ্ববাসীর সামনে আনেন। কিন্তু ভারতীয় অমুসলিমদের আক্রোশে তাকে দেশ ছাড়তে হয়। 

৫) ইমফল কান্ড :- ১৫ই জুলাই ২০০৪ সাল। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় মনিপুরের ইমফল নামক একটি শহরের খ্রিস্টান উপজাতি নারী মনোরোমার উপর নারকীয় পৈশাচিকতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতীয় রক্ষীবাহিনী। প্রায় ১৮ জন সৈনিক ধর্ষ*ণ করে মনোরোমাকে। মনোরমাকে ধর্ষণ শেষে ওর যৌণাঙ্গে পৈশাচিক ভাবে ১৬ বার গুলি করে হত্যা করেছিল ভারতীয় অমুসলিমরা। এরপর তার লাশকে ফেলে রাখে প্রকাশ্যে রাস্তায়। মনোরোমার বিভৎস লাশ দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উপজাতীয় খ্রিস্টান নারীরা। তারা বিএসএফ ও ভারতীয় সেনাবাহিনী ছাউনী ঘেরাও করে ফেলে। উলংগ হয়ে প্রতিবাদ জানায় বিশ্ব মিডিয়ার সামনে। স্তম্ভিত হয়ে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ যাহা প্রত্যক্ষ করে। 

৬) মণিপুরের খ্রিস্টান কুকি নারী :- ২০২৪ সালে ভারতের অমুসলিমরা তাদের রক্ষীবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় প্রকাশ্যে ২ জন খ্রিস্টান কুকি নারীকে উলঙ্গ করে ইমফল শহরে বেইজ্জতি করে। পরে এই নারীদের গণ ধর্ষ*ণ করেছিল ভারতের বিজেপির দল। ভিডিওটি অনলাইনে প্রকাশ হয়ে গেলে পুরো বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

Author: Sakib Hasan Piyada


You may also like