
হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে মুসলমান নিধন চালাচ্ছে মূলত দুভাবে:
এক, মুসলমানদের গরু খাওয়ার অপরাধে অথবা বাংলাদেশী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী বলে মারা হচ্ছে অথবা নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
দুই, মুসলমান নারীদের উচ্চ শিক্ষাতে এবং চাকরিতে বেশি বেশি করে নিয়ে আনা হচ্ছে অথবা নিয়ে আনার বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে যাতে মুসলমান নারীরা উচ্চশিক্ষা ও চাকরির জন্য বেশি সন্তান নিতে না চায়। এভাবেই ভারতে বিশেষ করে মুসলমান অধ্যুষিত রাজ্যগুলোতে মুসলমান জন্মহার যাতে কমিয়ে দেওয়া যায়।
আমি নিজেও ইউজিসি নেট জেআরএফ, অর্থনীতি বিষয়। এই পরীক্ষা বিভিন্ন বিষয়-এ হয়। একেকটা বিষয়ে এক একজন প্রথম হয়। সব মিলিয়ে প্রথম বলে কিছু হয় না। অথচ এরকম একটা মিথ্যে বিজ্ঞাপন কেবলমাত্র এই জন্য করা হয়েছে যাতে বাঙালি মুসলমানদের জন্মহার কমিয়ে দেওয়া যায়।
এটা মনে রাখতে হবে যে আসলে বাংলাদেশী ধরার নামে এসআইআর করে এনআরসি করে বাঙালি মুসলমানদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার যে রাজনীতি নিলুফা ইয়াসমিনকে নিয়ে বিজ্ঞাপন আসলে সেই একই রাজনীতির অঙ্গ।
বাঙালি হিন্দুরা বিলুপ্ত হয়ে যাবেই। এরা দুর্গা কালীর মতো নারী দেবী পুজো করে। আর এটাই তাদের পশ্চাৎগামীতার মূল লক্ষণ। যে কারণে এরা যুদ্ধ ব্যবসা রাষ্ট্র গঠন করতে পারে না। উপরন্তু ঘরের মেয়েদের খুব সহজেই স্বাধীনতা দিয়ে দেয় আর এর ফলে বাঙ্গালি হিন্দুদের জন্ম হার অত্যন্ত কম। পৃথিবীতে কোন নারী দেবী পূজারী জাতি আর টিকে নেই। শেষ নারী দেবী পূজারী জাতিটাও খুব শীঘ্রই বিলুপ্ত হবে। নারী দেবী পুজো আসলে প্রমাণ করে বাঙ্গালি হিন্দুরা তাম্র-প্রস্তর যুগেই আটকে আছে। এটা মনে রাখা দরকার যে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে একটা বড় অংশ সরাসরি এই তাম্র-প্রস্তর যুগের নারী দেবী পুজোর ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আর সেই জন্য এদের মধ্যেও অনেক সময় নারীকে অতিরিক্ত স্বাধীনতা দিয়ে জন্মহার কমিয়ে ফেলার প্রবণতা আছে। মনে রাখা দরকার পশ্চিমবঙ্গে যদি বাঙালি মুসলমানরা যথেষ্ট উচ্চ জন্মহার (বিহার ও রাজস্থানের তুলনায় বেশি) ধরে রাখতে না পারে তাহলে বিহারী মাড়ওয়ারীরা অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের দখল নিয়ে নেবে।
Author: Saikat Bhattacharya