world order

ভারত ও পাকিস্তানের রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন সিস্টেম

30-April-2025 by east is rising 23

ভারতের চেয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ব্যবস্থাপনা বেশ গোছানোl

এইযে আপনারা দেখতে পান, ভারতীয় বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক বিমান গুলো হুট করে ক্রাশ করে, নিজেদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিজেদেরই হেলিকপ্টারকে শুটডাউন করে― এগুলি মূলত ফোর্সের অব্যবস্থাপনার উদাহরণ।

ভারতের সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বড়; পাকিস্তানের তুলনায় তাদের বেশ সফিস্টিকেটেড ওয়েপনও রয়েছে। যেমন- সেনাবাহিনীর হাতে রাশান এস-৪০০, ইসরাইলি স্পাইডার, বারাক-৮ এয়ার ডিফেন্স, বিমানবাহিনীর হাতে ফ্রেঞ্চ রাফালে, রাশান সু-৩০, মিগ-২৯, নৌবাহিনীর হাতে স্করপিয়ান ক্লাস সাবমেরিন, আমেরিকান পি-৮ এন্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার ক্যাপাবল বিমান ইত্যাদি।

ভারতের সামরিক বাহিনী একেক দেশের একেক ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমরাস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার কারনে ওই দেশগুলো ভারতের হাতে তাদের অস্ত্রের সফিস্টিকেশন সিস্টেম বা কোড অব কন্ডাক্ট তুলে দেয়নি নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে। যার ফলে ভারত তার বিমান বাহিনীর ফ্রেঞ্চ রাফালের সাথে সেনাবাহিনীর রুশ অরিজিন এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ইন্টিগ্রেট করাতে পারেনি। অর্থাৎ ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র থাকলেও রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন সিস্টেম ডেভলপ করতে না পারায় এক দেশের অস্ত্রের সাথে অন্য দেশের অস্ত্রকে এলাইন করাতে পারছে না।

উদাহরণস্বরূপ: ২০১৯ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর ইসরাইলি অরিজিন স্পাইডার এয়ার ডিফেন্স একটি রুশ এমআই স্যাভেন্টিন শুটডাউন করে। অর্থাৎ, এমআই স্যাভেন্টিনকে ফ্রেন্ডলি এয়ার এসেট হিসেবে ডিটেক্ট করার মত ‛আইডেন্টিফিকেশন ফ্রেন্ড অর ফো’― আইএফএফ টেকনোলজি তাদের হাতে নেই।

ধরুন, কাশ্মীর সীমান্ত থেকে তিনটি পাকিস্তানি বিমান ভারতে ঢুকে পড়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাথে লাইন অব কন্ট্রোলের উপর তাদের ডগফাইট হচ্ছে। এসময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এস-৪০০ বিমানগুলি ডিটেক্ট করলো কিন্তু এস-৪০০ এটা বুঝতে পারবে না যে কোনটা ভারতীয় বিমান আর কোনটা পাকিস্তানি। তাদেরকে আলাদাভাবে আইডেন্টিফাই করতে হবে যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

কিন্তু ইন্ডিজেনাস রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন সিস্টেম থাকলে এই অসুবিধা হয়না। তখন একটা বাহিনী শত্রুকে আইডেন্টিফাই করার পর একই তথ্য সাথে সাথে অন্যান্য বাহিনী গুলির কাছেও চলে যাবে। আর ঠিক এই সিস্টেমটিই ভারতের হাতে না থাকলেও পাকিস্তানের হাতে রয়েছে।

পাকিস্তানের রয়েছে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি DataLink-17 রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন সিস্টেম, যার আওতায় প্রতিটি বাহিনী ইন্টিগ্রেটেড।

ভারতের হাতে এই মুহূর্তে না থাকলেও তারা ডেভলপ করছে। ভারত ইলেকট্রনিক্স BEL DT তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।

সুতরাং, যুদ্ধ জিততে শুধুমাত্র অত্যাধুনিক মিসাইল বিমান হলেই হয়না। স্টেপ বাই স্টেপ, বিট বাই বিট― সেগুলোকে প্রতিটা বাহিনীর মাঝে ইন্টিগ্রেট করানোর প্রয়োজন পড়ে।

ইংলিশে একটা কথা আছে “War in won by 2T & 2D” (Trust and Tactic, Doctrine and Discipline)

WRITTEN BY: Shafin Rahman

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like