বাংলাদেশ শক্তিশালী উৎপাদন ব্যবস্থা আপাতত বানাতে পারবে না, এখন তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিক: ভুরাজনীতিকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের কাছে কমিউনিজম এর অর্থ হল নাস্তিক্যবাদ। কিন্তু নাস্তিক্যবাদ কমিউনিজম-এর কোন বুনিয়াদি জিনিস নয়। মার্কস শুধু এইটুকুই বলেছে যে মেশিন ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা একসময় এতটাই স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে যে চাকরি করে মজুরি পাওয়ার সিস্টেমটাই অকার্যকর হয়ে যাবে। কারণ চাকরির সংখ্যা অনেকটা কমে যাবে। ফলে অধিকাংশ মানুষকে সামাজিক মালিকানার ওপর ভিত্তি করে রোজগার করতে হবে। স্বয়ংক্রিয়তা সে সেদিকেই যাচ্ছে সেটা এখন স্পষ্ট। যাতে সামাজিক মালিকানার উপর ভিত্তি করে সমস্ত মানুষ বেঁচে থাকার সুযোগ পায় এটা ইনসিওর করাই কমিউনিস্টদের কাজ। এটা একদিনে হয় না। এর জন্য স্বয়ংক্রিয়তাকে আস্তে আস্তে উচ্চ লেভেলে নিয়ে যেতে হয়। এই যাত্রাপথকে আমরা সমাজতন্ত্র বলি। শেষে এমন একটা দিন আনার সংকল্প যেখানে মানুষের করতে ভালো লাগেনা কিন্তু সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় মেশিন করবে আর মানুষ কেবল এমন কাজ করবে যেটা তার করতে ভালো লাগে। যেহেতু সে করতে ভালো লাগা কাজ করছে আস্তে আস্তে একটা সময় সে আর কাজের জন্য বিনিময় মূল্য আর চাইবে না। ফলে মানি মোটিভেসন অকার্যকর হয়ে যাবে। নাস্তিক অথবা আস্তিক হওয়ার সঙ্গে কমিউনিজম-এর কোন সম্পর্ক নাই।

কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ এইসব বিষয় বোঝেনা। আসলে তাদের কোন অর্থনৈতিক চিন্তা ভাবনাই নেই। তারা অনেকে ইসলামকে কেন্দ্র করে চিন্তা করার চেষ্টা করে। কিন্তু শক্তিশালী দেশ হিসেবে কোনও ইসলামিক অর্থনীতি খুঁজে পায় না। সেই জন্য শেষ পর্যন্ত তারা আমেরিকার বাইবেল বেল্ট-কে নিজেদের আইডল ভাবে। সেই বাইবেল বেল্ট যা ভয়ংকর ভাবে শ্বেতাঙ্গবাদী। যারা বিশ্বাস করে অশ্বেতাঙ্গদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। বাংলাদেশের এই অংশটা মনে করে যে খ্রিস্টানরা বোধ হয় মুসলমানদের অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী আদর্শগত আত্মীয়। কারন দুজনেই আব্রাহামেক। আর এই জন্যই শেষ পর্যন্ত তারা আমেরিকা-কে ও পশ্চিম-কে অন্ধের মত অনুকরণ করে চলে। এই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ খুব সহজে বের হতে পারবে না।

কিছু মার্কিন হেজিমনি বিরোধী মানুষ আছে যারা রাশিয়ার কিছু নীতির মধ্যে ক্রিশ্চান ও মুসলিমদের নিকটবর্তী আত্মীয়তা খুঁজে পান। তবে রাশিয়া যেহেতু মার্কিন অর্থনীতি ও চীনা অর্থনীতির তুলনায় খুব একটা শক্তিশালী নয় এবং রাশিয়া যেহেতু ভারতের দীর্ঘকালীন মিত্র সেই জন্য রাশিয়ার প্রতি ভালোবাসা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নেই। এদিক থেকে দেখতে গেলে ইসলামপন্থীদের থেকে মুসলমান জাতীয়তাবাদীরা অনেকটাই এগিয়ে। এই জন্যই হয়তো পাকিস্তান চীনের সাহায্য নিয়ে যতটা এগোতে পেরেছে (পরমাণু শক্তিধর হতে পেরেছে এবং উন্নত অস্ত্র নিয়ে ভারতের মতো শক্তিশালী দেশকে কাউন্টার করতে পেরেছে), ইরান রাশিয়া ও পশ্চিমের জায়ানবাদ বিরোধী-দের কাছে গিয়ে ততটাই বোকা হয়েছে।

বাংলাদেশ এভাবেই বর্তমানে একটা ভয়ংকর বৌদ্ধিক সমস্যায় পড়ে গেছে। আমি যা বুঝলাম বাংলাদেশের পক্ষে এই মুহূর্তে উৎপাদন চিন্তা ও অর্থনৈতিক চিন্তা করা প্রায় অসম্ভব। তবে ইসলাম মানুষকে ভালো যোদ্ধা হতে শেখায়। আপাতত যুদ্ধের চিন্তাই করুক বাংলাদেশ। আগামী ১০ বছরের মধ্যে পূর্ব ভারত এবং সমগ্র বাংলা ব-দ্বীপ জুড়ে ভয়ংকর যুদ্ধ ও সামাজিক বিপর্যয় আসতে চলেছে। যুদ্ধ না করে কোন সমাজই শক্তিশালী হয় না। বাঙালি সমাজের জন্য এ ধ্রুব সত্য। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 25-July-2025 by east is rising

বাঙালি বনাম হিন্দি গুজারাটি

হিন্দি বলয় ও গুজরাত থেকে মোট সাংসদ বর্তমানের ৪৫% থেকে বেড়ে ডিলিমিটেশনের পরে ৫২% হয়ে যাবে। সেই জন্য কেন্দ্রীয় সরকারে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের বাঙালিদের কোনও গুরুত্ব থাকবে না। কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করে হিন্দিভাষী ও গুজরাতিরা বাঙালিকে উচ্ছেদ করার জন্য একের পর এক আইন বানাবে আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিছুতেই বাঙালি উচ্ছেদ আটকাতে পারবে না। তাই যদি বাঙালিকে বাঁচতে হয়, পশ্চিমবঙ্গকে এখনই স্বায়ত্তশাসন চাইতে হবে।

একটু বঙ্গভঙ্গের ইতিহাসটা আপনারা ঠিক করুন। প্রথম বঙ্গভঙ্গ ব্রিটিশ করেছিলো ১৮৭৪ সালে, সেই সালে বাংলায় সিলেট এবং গোয়ালপাড়াকে বাংলা থেকে কেটে আসামে দিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। যার খেশারত বাঙালি আসামে আজও দিচ্ছে। এই যে অবৈধ বাংলাদেশীর গল্প আসামে দীর্ঘদিন চলছে তার মূল কারন এই বঙ্গভঙ্গ। বাংলার ভদ্দরলোকেরা সেদিন এই বঙ্গভঙ্গ মেনে নিয়েছিলো নি:শ্বব্দে। এটা একটু ঠিক করুন দয়া করে।

রাজস্থান থেকে বিহার জানে যে তাদের কোন সমুদ্র বন্দর নেই। হিন্দির নামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অহিন্দি অঞ্চলের বন্দর গুলো দখল করতে হবে। সবচেয়ে বেশি বন্দর সম্পন্ন অহিন্দি গুজরাটিদের সঙ্গে লুটের বখরা ভাগ করে সেটা সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ প্রথম নিকটবর্তী এবং সহজতর (বাঙালি হিন্দু-বাঙালি মুসলমান ৬০%-৪০%) টার্গেট।

গুজরাতি মারওয়ারি পুজি আর হিন্দিভাষী ভোট ব্যাংকের আধিপত্য মূল সমস্যা, ব্রাহ্মণ্যবাদ কোন সমস্যা নয় এখন।

নাগরিক আইন ১৯৫৫ বাংলা তরজমা'টা পড়ুন _ ইংরেজিটা নয় _ ইংরাজি আলাদা, বাংলা আলাদা ||

বাংলায় নাগরিক আইন, ১৯৫৫ ঠিক বলা আছে যে, ১৯৫০ থেকে ১৯৮৭ এর মধ্যে জন্মালেই নাগরিক হবে না, কারণ তার মা কিংবা বাবা ভারতের নাগরিক হলেই কেবল সে নাগরিক_ কিন্তু ইংরাজি citizenship act 1955 - এ মা বা বাবার নাগরিক হওয়া বাধ্যতা মূলক এই কথা লেখা নেই। কিন্তু মনে রাখা দরকার যে বাংলায় নাগরিক আইন ১৯৫৫ এর সাথে সংবিধানের লেখা মিলছে! ইংরেজি citizenship act 1955 এর সাথে মিলছে না! এবার বুঝতে হবে যে ইংরাজি citizenship act 1955 যেহেতু ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে, কন্ট্রাডিক্ট করছে সেই জন্য এই act ভুল। অথবা আসল যে citizenship Act 1955 আছে সেটা এখন ওয়েবসাইটে নেই! আসল citizenship act 1955 এর বাংলা তরজমা ওয়েব সাইটে আছে। যার সাথে সংবিধান মিলে যায়! এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মানিক ফকির @ মন্ডল ( দামাল বাংলা ) আবিষ্কার করেছেন! যদি এটা বাঙালি না বুঝতে পারে তাহলে আগামী দিনে বাঙালির বিশেষ করে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা বাঙালি হিন্দুদের সমূহ সর্বনাশ হতে চলেছে!

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Hindu 25-July-2025 by east is rising

আম্বেদকারই হিন্দুত্ববাদের রক্ষকঃ কারণ ওনার জন্যেই হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করলে রিসারভেশন-এর সুবিধে পায়না নীম্ন বর্ণের মানুষ

যদি শিয়া-সুন্নী, ক্যাথলিক-প্রোটেস্টন্ট ডিবেট ধর্মান্ধ এজেন্ডা হয়, তাহলে ব্রাহ্মণবাদ-বহুজানবাদ বিতর্ক কিভাবে লিবারেল এজেন্ডা হয়..? কেনো আম্বেদকর এর বহুজন ও দলিত রাজনীতি এতো লিবারেল এজেন্ডা ভাবে ভারতের তথাকথিত লিবারেল, সেকুলার ও নাস্তিকরা ? তথাকথিত ইন্ডিয়ান লিবারেল, সেকুলার ও নাস্তিকদের এসব চু-তি-য়া-প-না কবে শেষ হবে কে জানে..এদের এসব চু-তি-য়া-প-নার জন্য আজও ৭৪ বছর ধরে casteism এর ভিত্তিতে একটা সমাজ এর লোক শুধুমাত্র caste-based reservation এর একতরফা সুযোগ উপভোগ করছে, অথচ সব ধর্মের লোকের মধ্যে ভারতে জাতপাত বিরাজমান। জরুরী নয় যে তাঁদের ধর্মগ্রন্থ কি বলছে, কিন্তু বাস্তবে সব ধর্মের লোকের মধ্যে ভারতে জাতপাত আছে..আপনি ওয়াকাফ সংস্কার বা তিন তালাকের বেলায় মুখে বলছেন মুসলিম সমাজ এর সংস্কার নেওয়া উচিত.. অবশ্যই নেওয়া উচিত আমি স্বীকার করি। কিন্তু আপনিও নিজেদের ধর্মের একটু সংস্কার করে casteism ছুড়ে ফেলুন.. 5000 বছরের ভিক্টিম কার্ড প্লে করে আর কতো reservation নিবেন..এমনিতে তো ব্রাহ্মণদের ফুট সোলজার হিসাবে কাজ করেন আপনারা আবার casteism এর ভিক্টিম কার্ড প্লে করে reservation-ও নেন আপনারা, এটাই আপনাদের বাস্তবতা... যে ধর্মেই আপনি জন্মেছেন সে ধর্ম আপনার ভালো না লাগলে অন্য ধর্মে গ্রহণ করা, কিংবা ধর্মহীন বা নাস্তিক হওয়ার যখন সুযোগ রয়েছে আপনার কাছে তখন casteism এর ভিক্টিম কার্ড প্লে করে reservation এর আবার প্রয়োজন কেনো..?

Read More

Author: Md. Yousuf Saikh

Social Hindu 25-July-2025 by east is rising

পশ্চীম বঙ্গের স্বায়াত্বশাসন চাই

ভারতের মতো বৃহত্তর বহু অঙ্গরাজ্যভিত্তিক রাষ্ট্রে পররাষ্ট্র বিষয়ক বিষয় ছাড়া সকল বিষয়ে রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন থাকা উচিত তবেই বহুজাতিক বহু রাজ্যর মধ্যে আর পরাধীনতার আর শোষণের বিষয় ফুটে উঠবে না।
অঙ্গ রাজ্যগুলো হতে আদায়কৃত ট্যাক্স সমপরিমাণেই একটা অংশ রেখে সেটা রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
এবার বলি কেন একটা অংশ কেন্দ্র রাখবে?।
কেন্দ্র ঐ অর্থ গ্রহণের বিনিময়ে রাজ্যেরই জনতার মাধ্যমে সেই রাজ্যের স্থল,জল ও আকাশসীমা রক্ষার সুব্যবস্থা এবং ঐ অঙ্গরাজ্যের রাজ্যিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
আমরা অতীতেও দেখেছি পৃথিবীর বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্য পরবর্তীতে এই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় শাসনের এবং শোষণের চাপে নিজেদের স্বাধীন করে ফেলেছে। এমনকি আজ থেকে পঞ্চপঞ্চাশ বছর আগে এই ঘটনার ফলেই  পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান হতে আলাদা হয়ে গেছে।
অথচো এই পাকিস্তান ইসলামী ভাতৃত্বের আবহেই গড়ে উঠেছিল।
এবার ভারতে এই সমস্যা কখনোই জটিল কখনো হয়নি তার কারণ এখানে বেশিরভাগই বহুজাতিক জাতিগুলোর জনবল খুবই কম।
সবথেকে বড় কথা হলো সুদীর্ঘ এই আটাত্তর বছরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেশিরভাগ সময়ই নির্বাচিত হয়েছে পূর্বোক্ত সম্রাট আকবরের "হিন্দুস্তান" অঞ্চলের বর্তমান হিন্দি ভূমি হতেই, ভারতের বিভিন্ন জাতি এই নিয়ে কখনোই বিরোধ করেনি তার অন্যতম একটা কারণ ভারতীয় দক্ষিণাংশ ছাড়া তাদের অর্থনৈতিক শক্তি ও ছিল না এবং তাদের জনতাও এই নিয়ে আপত্তি কখনোই তোলে নি।
সবথেকে বড় কথা এই ভারতের শাসনক্ষমতা সবসময় যে পুঁজিপতি সমাজ নিয়ন্ত্রণ করেছে তারা হলো মাড়োয়ারি এবং গুজরাটি।
যেহেতু হিন্দি ভোটব্যাঙ্ক বেশি (45%-2014 সাল অবধি) তাই এই গুজরাটি মাড়োয়ারি সাম্রাজ্যবাদীদের অতি আপন কোন হিন্দিভাষী লিডারকেই তারা একমাত্র চয়েস হিসেবে ঠিক করে এবং নির্বাচিত করে।
উল্লেখ্য এখানে হিন্দি ভোটব্যাঙ্কের মন পেতে এবং নিজেদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আড়াল করে গুজরাটি মাড়োয়ারি লবি হিন্দিকে ভারতের জাতীয় ভাষা করা হুড়কো সুরসুরি ও দেয়।
এতেই আজো বেশিরভাগই অনুন্নত ও অশিক্ষিত হয়ে থাকা হিন্দি ভোটব্যাঙ্ক খুশি হয়ে যায় এবং গুজরাটি মাড়োয়ারি পুঁজিপতিদের নিজেদের অর্থনৈতিক মসিহ হিসেবে মেনে নেয়।
তারা এটা ভাবে ক্ষমতা তাদের হাতে,আসলে প্রধানমন্ত্রী যে হিন্দিভাষী কিন্তু আদতে এখানে হিন্দিভাষী প্রধানমন্ত্রী কিন্তু শুধুমাত্র একটা পুতুল, দাবার গুটি ঠিক করে ঐ গুজরাটি মাড়োয়ারি পুঁজিপতিদের লবিই।
গুজরাটি মাড়োয়ারি লবিই মূল আজকের ভারতের আসল রাজা।
এবার প্রশ্ন হলো এ নিয়ে আপত্তি করছি কেন?।
এই গুজরাটি মাড়োয়ারি লবি বেশিরভাগই সময় ভারতের বিভিন্ন দখলদার শাসকদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে নিজেদের শাসনক্ষমতা চালিয়েছে এবং অন্যান্য জাতির পুঁজি এবং পুঁজির উৎসগুলো ধ্বংস করেছে।
বৃটিশদের সাথে ও এদের বন্ধুত্ব ছিল বলেই গুজরাট এবং মাড়োয়ারদের ভূমি হতে তেমন কোন স্বাধীনতা সংগ্রামী আমরা দেখি নি।
হিন্দিভাষী অঞ্চলেও কিছু বিষয় ছাড়া খুব একটা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন কিন্তু কখনোই হয় নি।
সবথেকে বেশি আন্দোলন হয়েছিল বৃটিশ শাসনের অবিভক্ত বাংলা ও অবিভক্ত পাঞ্জাব ভূমিতেই।
বিষ্ময়কর হলেও সত্যি এই দুই অঞ্চলই 1900 সালের শুরুর দিকেই মুসলিম মেজরিটি হয়ে যায়।
অনেকেরই অভিযোগ যে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলমানরা কম লড়েছে কেন?।
কথাটা অর্ধসত্য তার কারণ প্রথম বৃটিশ বিরোধী গন আন্দোলনে 1857 সালে যখন সিপাহী বিদ্রোহ হচ্ছে তখন দিল্লির দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ্ জাফরকে মুখ করে মুসলিমরা ভারতকে বৃটিশদের করাল গ্রাস হতে উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পরলো তখন আবার বৃটিশ চলে গেলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হবে এই ভয়েই বিভিন্ন হিন্দু রাজা ও প্রজারা এই আন্দোলন হতে পিছিয়ে আসে এবং উল্টো বৃটিশদের সহযোগিতা করেছে।
এবার এরপর যখন হিন্দু ও শিখেরা বৃটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করলো তখন তারা তাদের স্ব ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এবং স্বধর্মীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তেই যে লড়াই করতে নেমেছে এটা মুসলমানদের বুঝতে আর ভুল হয়নি।
তাই তারা আর বৃটিশদের বিরুদ্ধে সেভাবে লড়ে নি,আর যেহেতু বঙ্গ ও পাঞ্জাবে 1872 সালের জনগনাতেই মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় হিন্দু ও শিখ জনগোষ্ঠীর সমান সমান হয়ে যায় বৃটিশ সরকার এটা বুঝতে পারে যে মুসলিমদের যদি পরোক্ষভাবে স্বপক্ষীয় বানানো যায় তবে যে হিন্দু মুসলমান আলাদা মানসিক প্রেক্ষাপট আছে তাকে ব্যবহার করে তারা আরো রাজত্ব করতে পারবে।
তার উপর অর্ধেক এর বেশি জনগোষ্ঠী যদি নিস্প্রভ থাকে তাহলে সেই আন্দোলন কিন্তু সহজ হয় না।
এদিকে মুসলমানদের কাছে টানতেই বৃটিশ সরকার কিন্তু মুসলমানদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষেই বঙ্গভঙ্গ করে এবং পাঞ্জাবে ও ধীরে ধীরে মুসলিম নবাব পরিবারগুলোর সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে।
বৃটিশদের মুসলিম লিডারদের সাথে একাত্মতা পোষণ মূলত মুসলিম সমাজকে বৃটিশ বিরোধী হতে দেয়নি তদুপরি যারা 1857 সালে মুসলিম শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভয়ে বৃটিশদের সাথে আর যুদ্ধ করেনি তাই মুসলিম সমাজ ও এদের পক্ষে আর জান দিয়ে সেভাবে লড়েনি।
এদিকে যারা কোনদিনই বৃটিশদের বিরুদ্ধে সেভাবে লড়েনি  উল্টো বৃটিশদের পক্ষে সবসময় দালালি করতে তাদেরই হাতে এই ভারতের শাসনক্ষমতা ছেড়ে যায়।
ভারতের তথাকথিত স্বাধীনতার সাথে এটা বোধহয় সবথেকে বড় প্রহসন।
এবার এককালে এরা পুঁজি যোগার করতে নিজেদের বাড়িঘরের নারীদের বৈধ ও অবৈধভাবে ও তৎকালীন শাসকদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভেট চরিয়েছে এবং তাদের হাতে দেশ যে কোন আবেগ নয় তার উত্তম প্রমাণ হলো স্বাধীনতা উত্তর এদের জাতভাই রাই এদেশের সম্পদ ঋণের মারফতে নিয়ে বিদেশে পাচার করে ঋণখেলাপি হয়ে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে এবং এখনো করছে।
তাই এদের হাতে দেশ থাকা আদৌও মঙ্গলকর নয়।
অন্যদিকে বৃটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতার জন্য সবথেকে বেশি লড়েছে বলেই ভারতের শাসনক্ষমতায় বাঙালি ও শিখদের জন্য আবশ্যিক জায়গা থাকা দরকার বলে আমি মনে করি।
এছাড়াও ভারতীয় জনসংখ্যার মাত্র 18% হয়েও সমগ্র ভারতের জাতীয় করের 33% যারা দেয় সেই ভারতীয় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদেরও একইভাবে কেন্দ্রীয় শাসনক্ষমতার ভাগ থাকা দরকার বলে আমি মনে করি।
তার উপর এই হিন্দি ভূমির বেশিরভাগই অংশ হতে দেশোন্নয়নে যতো কর ওরা দেয় তার বহুগুণ তারা আজ স্বাধীনতার আটাত্তর বছর পরেও তারা নিচ্ছে।
এটা তাদের একটা অহিন্দি জাতিদের উপর নিরব শোষণ নয় তো আর কি?।
তারা উৎপাদন ও করবে না অথচো দূর্বলতার আর ভাতৃত্বের ভন্ডামি করে ওদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও পরোক্ষভাবে নেবে আবার অর্থ ও নেবে দুটো কি একসাথে আদৌও কোন সুস্থ মানুষ মেনে নিতে পারে?।
আচ্ছা সে আমার ভারতীয় ভাই বলে তো না হয় 78 বছর মেনেছি কিন্তু এখনো মানবো?।
তাহলে তারা আর উন্নয়ণ করবে কবে?।
যে হবার সে এই 78 বছরেই হয়ে যেত,এ তো হওয়ার নয় হারামে বেশি পেলে কে না কম নিতে চাই?।
তাই এখন সমগ্র ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষকে অন্তত এই অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার রক্ষায় স্বায়ত্তশাসন চাইতে হবেই।

Read More

Author: Prosenjit Dey

International geopolitics Hindu 25-July-2025 by east is rising