সব দ্বিধা কাটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা। ১০ বছর মেয়াদে ১২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে। যেখানে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ ও চীন সরকার। ইতিমধ্যে চীন দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল তিস্তার মাঠ পর্যায়ের জরিপ করছে।
ডাইরেক্টর অব দ্য পলিটিক্যাল সেকশন জং জিং এর নেতৃত্বে চীনা প্রতিনিধি দলটি মতবিনিময় করেছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনসহ নদী পাড়ের মানুষের সঙ্গে।
রিভারাইন পিপলের এক গবেষনায় দেখা গেছে, প্রতি বছর তিস্তার ভাঙন প্লাবনে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন উত্তরের ৫ জেলার বাসিন্দা। এছাড়াও বাস্তুভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, ‘১০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে অববাহিকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। বিগত আওয়ামী সরকার তিস্তাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছিল, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাতে তিস্তা পাড়ের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটেছে।’
চলতি বছরের ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করেছিল তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলন।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে, তিস্তর দুই পারে পুনরুদ্ধারকৃত ১৭৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠবে ইকোপার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন, আধুনিক কৃষি, মৎস্য খামার, কৃষিভিত্তিক কলকারখানা, জনবসতি ও স্যাটেলাইট টাউন।’
তিনি আরও বলেন, তিস্তা খননের ফলে ব্রহ্মপুত্র দিয়ে যমুনা সঙ্গে সারা বছর একটি নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হবে। তিস্তার শাখা প্রশাখা ও উপনদী গুলো হবে এক একটি জলাধার।
১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎ দিবস ও জুলাই শহীদ দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ। যেখানে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ ও চীন সরকার যৌথভাবে। ১০ বছর মেয়াদে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। প্রথম ৫ বছরে সেচ, ভাঙন রোধ, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ গুরুত্ব পাবে।’
তিনি বলেন, ইআরডি থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনার খসরা এখন চীন সরকারের কাছে।
"সময়" বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যম জুলাই ২৮, ২০২৫
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
International geopolitics General 28-July-2025 by east is risingবিশ্বজুড়ে সেকুলার ও লিবারেলদের ইরান নিয়ে বরাবর একটা হা-হুতাশ লক্ষ্য করা যায় ১৯৭৯ সালের খোমেনি বিপ্লবের পর। তাদের মতে— “ইরানের নারীরা নিষ্পেষিত, অবহেলিত ও অত্যাচারিত। মোল্লাতন্ত্র তাদেরকে শেষ করে দিয়েছে। সেকুলার পাহলভির শাসনকালই স্বর্ণযুগ ছিলো ইরানের নারীদের জন্য।”—এসব বক্তব্য দেওয়া হয় মূলত ইরানকে সামনে রেখে ইসলাম ও মোল্লাসমাজের একটা নারীবিরোধী চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য।
এটা কতটুকু সঠিক? আসলেই কি শাহ আমল নারীদের জন্য স্বর্ণযুগ ছিলো?—ডেটা কি বলে দেখা যাক একটু:
বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ১৯৯২ সালের ১৬ ডিসেম্বর এক ভাষণে বলেন:
“… কেউ যেন এই প্রচার না করে যে, হিজাব, লজ্জাশীলতা, গৃহস্থালী দায়িত্ব পালন এবং সন্তান প্রতিপালন বজায় রেখে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমাদের সমাজে নানা ক্ষেত্রে অনেক নারী বুদ্ধিজীবী ও বিজ্ঞানী রয়েছেন পরিশ্রমী, বুদ্ধিমান ও মূল্যবান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী; উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত; কৃতিত্বপূর্ণ ও শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা! আজ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে নারীদের জন্য বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র উন্মুক্ত রয়েছে…”
এই বক্তব্যের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায়, ইরানে—
নারী সাক্ষরতা ও শিক্ষা
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
বিশ্বব্যাংকের ডেটা অনুসারে ইরানে ১৯৭৯ সালের খোমেনি বিপ্লবের আগে পশ্চিমাপন্থী শাহর আমলে
সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ছিলো ৩৬%
আর নারীদের সাক্ষরতার হার ছিলো ২৪%।¹ বিপ্লবের কয়েক দশকের মধ্যে হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮%-এ। ১৯৭৬ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বে সাক্ষরতার হার ২০% বেড়েছে। কিন্তু ইরানে এই সময়ে সাক্ষরতার হার প্রায় ৫০% বেড়েছে।² ২০১৬ সালে ইরানে নারীদের সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮১%, যেখানে বৈশ্বিক হার ছিল ৮২%।³ উচ্চশিক্ষায় নারীর হার প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৮ সালে যা ছিলো ৩%, ২০১৮ সালে সেটা ৫৯ শতাংশে পৌঁছেছে।⁴ ইসলামি বিপ্লবের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকসংখ্যা ১৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৯ সালে নারী শিক্ষকরা মোট শিক্ষকসংখ্যার মাত্র ১.৪% ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪%। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসরদের মধ্যে ২০%, অথচ বিপ্লবের আগে এই হার ছিল মাত্র ১.৪%।
খোমেনি রেজিমে ১৯৯১–৯২ থেকে ২০০৬–০৭ সালের মধ্যে, সরকারিভাবে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ বেড়ে ২৮% থেকে ৫৮%-এ উন্নীত হয়। Private Azad University-তেও অনুরূপ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।⁵ ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নারীর হার ছিলো ৬৫%। [Tehran Times], ২০১৫ সালে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হার ছিলো ৬৭% , এরপর কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২০ সালে দাঁড়ায় ৫৭.২%। সর্বনিম্ন ছিলো ১৯৭১ সালে শাহের আমলে, মাত্র ১.৫৫%। [IndexMundi], এছাড়াও বিশ্বের শীর্ষ ১% সর্বাধিক উদ্ধৃত গবেষকদের মধ্যে ১৩০ জনেরও বেশি ইরানি নারী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
এবার চলুন উন্নত রাষ্ট্রে নারীদের STEM তথা
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে অংশগ্রহণ দেখে নিই এক ঝলকে তুলনামূলকভাবে:
যুক্তরাষ্ট্র— ৪৪%, যুক্তরাজ্য—৩৮%,জার্মানি— ২৭%,ফ্রান্স—৩২%, অস্ট্রেলিয়া—৩৭%, সুইজারল্যান্ড— ২২%, সুইডেন—৩৬%, ডেনমার্ক—৫০.৮%, ইতালি—৪০%, এদিকে আমাদের ভারতে নারীদের STEM-এ হার মাত্র—৪৩%।[Times of India 2021]
মোল্লাপন্থী ইরানের হারা জানা আছে? নারীদের STEM তথা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে অংশগ্রহণ হলো—৭০%, যা ভারতসহ পশ্চিমের উন্নত প্রগতিশীল রাষ্ট্রগুলোর প্রায় দুইগুণ বেশি।⁶ ইরানে ডক্টরেট লেভেলের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫৮% নারী । যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ৫৬%।⁷
UNESCO-র ২০২১-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ইরানে Researchers-দের প্রায় ৩২% অংশ নারী ছিল, ভারতে ২০১৮ সালে এই হার ছিলো ১৬.৬% যা এখনও আছে । জাপানে এই হার ১৭.৫%। পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার (যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে) গবেষকদের মধ্যে নারী প্রায় ৩৫% গড় ছিলো। অর্থাৎ ইরানের সমতুল্য।⁸
নারী ডাক্তার
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
ইরানে, চিকিৎসা বিদ্যালয়ের স্নাতকদের মধ্যে ৬০% এবং ডক্টরাল পর্যায়ের স্নাতকদের মধ্যে ৫২% নারী। যা পাহলভি সময়ের থেকে ৩৫ গুণ বেশি।⁹ বর্তমানে ইরানের সরকারি ভাষ্যমতে ইরানে বিদেশি চিকিৎসকের প্রয়োজন নেই। একটা গবেষণায় উঠে এসেছে, ১৯৭৯ সাল থেকে ২০১৫ অব্দি, মহিলা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের সংখ্যা ৯৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর সেইসাথে মহিলা উপ-বিশেষজ্ঞের সংখ্যা ১৭০০% বৃদ্ধি পেয়েছে।¹⁰ ২০২২ সালে ইরানে সক্রিয় জেনারেল প্র্যাকটিশনার বা সাধারণ চিকিৎসকদের প্রায় ৫০% ছিলেন নারী।¹¹ এছাড়াও ইরানে বর্তমানে মোট চিকিৎসা রেসিডেন্টদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে আমেরিকায় ২০২২ সালে সক্রিয় চিকিৎসকদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৮%।¹² জাপানে চিকিৎসকের মধ্যে ২৩.৬% নারী। ২০১৫ সালে ফ্রান্সে মোট চিকিৎসকদের মধ্যে ৪৪% ছিলেন নারী, ScienceDirect(২০১৯)-এর তথ্য অনুযায়ী। সাউথ কোরিয়ার JKMA-র ২০২১-এর তথ্য অনুযায়ী সেখানে নারী ডাক্তারের হার মাত্র ২৬.৮%। ভারতের দিকে তাকালে দেখি Dasra-র "An Unbalanced Scale: Exploring the Female Leadership Gap in India’s Healthcare Sector" রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে মাত্র ২৯% মহিলা ডাক্তার।¹³
স্পষ্টতঃ লিবারেল শ্রেণী একটা সুগঠিত মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। কারণ তাদের চোখে 'ইসলাম' ও 'মোল্লাতন্ত্র' দুটোই খারাপ আর 'ভালো' হচ্ছে 'পশ্চিমা-সভ্যতা' সুতরাং ইরান নিয়ে প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে যেতে হবে মিথ্যা বয়ান জনমানসে গেঁথে দেওয়ার জন্য।
শেষকথা, নারী স্বাধীনতা বলতে যদি নোংরামি, প্রকাশ্য খোলামেলা পোশাক পরা, সিগারেট খাওয়া বোঝায় তাহলে ইরানে নারী স্বাধীনতা অবশ্যই নেই।
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
রেফারেন্স :
[1]Statistics on Women in Iran, Garrett Nada December 9, 2020.
[2]https://data. http://worldbank.org/indicator/SE.ADT.LITR.ZS?end=2016...
[3]https://data. http://worldbank.org/indicator/SE.ADT.LITR.FE.ZS?end=2016...
[4] Statistics on Women in Iran, Garrett Nada December 9, 2020.The Iran primer.
[5] Educational Attainment in Iran
January 29, 2009, Zahra Mila Elmi.
6. The West is way behind Iran and Saudi Arabia when it comes to women in science, QUARTZ, Annalisa Merelli,July 21, 2022
Set To Take Over Tech: 70% Of Iran's Science And Engineering Students Are Women,Amy Guttman, Forbes
[7] Status of women in Iran, Susan Abulhawa,June 24, 2025, Workers World.
[8]Gender imbalances remain in digital skills and STEM careers,UNESCO, 25/04/2023.
February 2025 UIS Data Release: Explore the latest progress on SDG 9.5 Research
and Development through key indicators.
9.Iran’s outcomes in healthcare over past 45 years, MEHR News Agency, Feb 4, 2024
10. Health Care and Medical Education to Promote Women’s Health in Iran; Four Decades Efforts, Challenges and Recommendations, july 2020, ResearchGate
11.Equity in the geographical distribution of general practitioners in Iran, National Library of Medicine.
12.Women are changing the face of medicine in America, Patrick Boyle, Michael Dill,; Rosalie Kelly and Zakia Nouri, May 28, 2024.
13.Women occupy only 18% of leadership roles in India's healthcare sector, earning 34% less than male counterparts: Report. Mansi Jaswal, 6 Dec 2023, Mint
Read MoreAuthor: খাইরুল
Historical Sex War feminism 28-July-2025 by east is risingএকশ্রেনীর লোকের বক্তব্য, বাংলার বাইরে যে অসংখ্য প্রতিষ্ঠিত বাঙালি আছে নানা Professor থেকে Corporate এ উচ্চপদে তাদের তো কেউ কিছু বলছেনা।
এধরনের কথা যারা বলে, তাদের কিছু Basic ধারণার সমস্যা আছে। একটা community কে যখন তাড়ানো হয়, তখন শুরুতে তার সবথেকে দুর্বল, আর্থিক জোর নেই যার, সেই তাদেরকে target করা হবে এটাই স্বাভাবিক। এগুলো হচ্ছে - টোকা মেরে দেখা, কমিউনিটি Reaction কেমন আসে। যাদের Reaction দেওয়ার ক্ষমতা আছে, সেই প্রতিষ্ঠিত বাঙালিরা কতটা React করে - সেটা দেখার Process চলছে এখন।
Stage ১: গরীব পরিযায়ী শ্রমিক যাদের কোনো সম্বল নেই এবং, যাদের Majority হবে মুসলমান। Stage ১ চলার সময়, বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে প্রচার করা হবে, যে এটা চললে বাংলাদেশী মুসলমান দের তাড়ানো যাবে, তাই তারা চুপ থাকবে।
Stage ২: পশ্চিমবঙ্গের ভেতরে যারা দরিদ্র, তাদের cancellation যার বড় সংখ্যা হবে হিন্দু। মতুয়া ভাইদের ক্ষেত্রে বড় scale এ হতে পারে এটা। stage ২ চলার সময়, বাংলার মুসলমানদের মধ্যে প্রচার করা হবে যে, এখানে বাঙালি হিন্দু Population Percentage কমে গিয়ে মুসলমান রা Majority পেতে পারে। তাই, তারা চুপ থাকবে।
Stage ৩: রাজ্যের মধ্যে বড় সংখ্যায় দরিদ্র শ্রেনীর UP বিহারী আনা।
Stage ৪: মধ্যবিত্ত ঘরের পূর্ববঙ্গ এর হিন্দু পরিবারের ভোটাধিকার Cancel করা। এবং, বাংলায় বাঙালি হিন্দু, অবাঙালি এবং মুসলমান দের ১:১:১ এর অনুপাতে নিয়ে আসা। তবে, এই মধ্যবিত্ত ঘরের বাঙাল হিন্দুদের Inmediately detention camp এ stage ৪ এই ঢোকানো হবেনা।
Stage ৫: ঘটি ও জমির মালিক যারা, তাদের কাছ থেকে জমির অধিকার কেড়ে নেওয়া বা, ব্যবসার দখল নেওয়া। ধরা যাক, কুন্ডু/ জানা পদবীর কারোর কোনো কাগজপত্র এর সমস্যা হচ্ছে। তাকে বলা হল, যতদিন তুমি কাগজপত্র যে তোমারই প্রমাণ না দেখাতে পারো, তোমার জমি / ব্যবসা প্রশাসন দ্বারা নির্বাচিত কোনো ব্যক্তি চালাবে। প্রশাসন দ্বারা নির্বাচিত ঐ ব্যক্তি টা হবে বিহারী / গুজরাতি। বামুন কায়েত এই পর্যায়ে আক্রান্ত হবেনা। বাঙালি মধ্যবর্ণ সদগোপ আগুড়ি কৈবর্তমহিষ কর্মকার তিলি - এরা হবে প্রধান আক্রান্ত। যেহেতু ইতোমধ্যেই বাঙালি হিন্দু ভোটাধিকারের দিক থেকে ১/৩ আয়তনে নেমে এসেছে, তাই এরা কোনো কমিউনিটি-ভিত্তিক পাল্টা দিতেও পারবেনা।
Stage ৬: stage ৪ ও ৫ এর repitition কিন্তু, এতদিন যা নিয়ম মেনে হচ্ছিল। সেটাই নিয়ম ছাড়া লাগামহীন ভাবে করা। এবং, বাংলার বাইরে White Collar Layer এ থাকা বাঙালিরাও এবার হয়রানির শিকার হওয়া শুরু হবে। এদের হাতে যদি বাংলার বাইরে কোনো Plot কেনা থাকে, বা এদের Bank accounts থাকে। সেই Asset গুলো Seal করা শুরু হবে।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ব্রাহ্মণ বা, কায়স্থ দের System খুব একটা আঘাত করবেনা। এর কারণ হচ্ছে, এরা এখনও বাঙালি জাতির মুখপত্র বা, Facet
ফলে, এদের গায়ে হাত পড়লে, that'll make a big noise যেটা system চাইবেনা। তবে হ্যাঁ, stage ৬ দীর্ঘদিন continue করলে, তারপর পড়তেই পারে।
Read MoreAuthor: Animesh
Social Hindu 28-July-2025 by east is rising