
চীনের উত্থান থেকে দুটো অর্থনৈতিক অবজারভেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ:
১। রাশিয়া সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের পথে গিয়ে ১৯৯০ এর দশকে অর্থনৈতিকভাবে শেষ হয়ে গেছে আর অন্যদিকে চীন পরিকাঠামো গত শিল্প ও পরিষেবাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানা এবং ভোগ্য পণ্য শিল্প পরিষেবাতে ব্যক্তি মালিকানা রেখে বিশ্বের এক নম্বর উৎপাদক হয়েছে।
২। পশ্চিমের দেশগুলো উপনিবেশ লুট করে তাদের শিল্পায়ন কর্মসূচিকে অর্থায়ন করেছে আর অন্যদিকে চীন কোন উপনিবেশ লুট না করে দেশের অভ্যন্তর থেকেই সম্পূর্ণ আদি পুঁজি সঞ্চয় করে শিল্পায়ন কর্মসূচিকে অর্থায়ন করেছে।
এই বিষয়গুলো কিন্তু ওপর থেকেই চোখে পড়ে। এবং এগুলো বুঝতে খুব একটা রকেট সাইন্স লাগেনা। আফ্রিকা লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার বহু দেশই আজকে এই দুটো বিষয় কবজার্ভ করেছে এবং সেই অনুযায়ী অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ থেকে কিন্তু বহুবার বহু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা চীনে গেছে অথচ এই দুটো বিষয় তারা অবজারভ করেনি। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা এখনো পর্যন্ত ১৯৯০ দশকের বৌদ্ধিক চর্চায় আচ্ছন্ন। এনারা এখনো বুঝে উঠতে পারেননি কিভাবে ১৯৯০ দশকে গড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক একমেরু বিশ্ব ২০০৮ এর পর থেকে ক্রমেই বহু মেরু বিশ্বে পরিণত হলো। তারা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি চীনের উত্থান কিভাবে হল এবং চীনের উত্থান কি সিগনিফাই করে।
সাহসিকতার দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে তরুন সমাজ জেন জি সমগ্র বিশ্বকে ছাপিয়ে গেছে ২০২৪ জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বৌদ্ধিক চর্চায় এখনো তারা দক্ষিণ গোলার্ধের অধিকাংশ দেশের থেকেও যথেষ্ট পিছিয়ে। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ জেন জি কে আগামী দিনে তাদের বৌদ্ধিক চর্চায় অনেক শান দিতে হবে। এরপরই কেবল বিপ্লব পূর্ণতা পাবে।
Author: Saikat Bhattacharya